বিরোধী শিবিরে ভাঙন অব্যাহত। এবার মালদহে বড় ভাঙন সিপিএম-কংগ্রেস শিবিরে। বিরোধী শূন্য হল মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের মালিওর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত। সিপিআইএম-এর দখলে থাকা পঞ্চায়েত চলে গেল তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। রাজ্য সরকারের উন্নয়নের জোয়ারে সামিল হতে চাইছেন বিরোধীদলের একাধিক কর্মীরা। এই কারণে একুশের বিধানসভায় তৃতীয়বার তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের পরই ঘাসফুল শিবিরে যোগদানের হিড়িক পড়ে গিয়েছে।
৫০০ সিপিআইএম, কংগ্রেস কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। বৃহস্পতিবার হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের সিপিআইএম পরিচালিত মালিওর-২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তরিনা খাতুন,কংগ্রেস দলের উপ-প্রধান দিলীপ দাস ও কংগ্রেসের পঞ্চায়েতে সমিতির সদস্য গৌতম মাহাদহের সহ কংগ্রেসের দুই পঞ্চায়েত সদস্য ও সিপিআইএমের এক পঞ্চায়েত সদস্য-সহ মোট ৬ জন এবং প্রায় পাঁচ শতাধিক সাধারণ কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।
হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের দক্ষিণ তালসুর গ্রামে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি মহম্মদ হজরত আলি। উপস্থিত ছিলেন মালিওর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সভাপতি আজিজুর রহমান ও হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি সেতাবুর রহমান সহ পঞ্চায়েত ও ব্লক নেতৃত্বরা।
ব্লক সভাপতি মহম্মদ হজরত আলি বলেন, ‘একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যবাসী যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন,তাতে সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রেখে তৃণমূলকংগ্রেসে যোগদান করছেন৷’যোগদানকারী সিপিআইএম পঞ্চায়েত প্রধান তরিনা খাতুন বলেন ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে উন্নয়নের কাজে সামিল হতে তৃণমূলকংগ্রেসে যোগদান করলাম ৷’
আরও পড়ুন- শিশুদের শরীরে স্থায়ী হচ্ছে না করোনার উপসর্গ, স্বস্তির বার্তা বিশেষজ্ঞদের