শিশুদের শরীরে স্থায়ী হচ্ছে না করোনার উপসর্গ, স্বস্তির বার্তা বিশেষজ্ঞদের

করোনার তৃতীয় ঢেউ(covid third wave) নিয়ে আতঙ্কিত গোটা পৃথিবী(world)। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছিল তৃতীয় ঢেউয়ের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা। তবে সেই আতঙ্ক কাটিয়ে অভিবাবকদের স্বস্তির বার্তা দিল এক গবেষণা(research)। দ্য ল্যানসেট চাইল্ড অ্যান্ড অ্যাডোলসেন্ট হেলথ জার্নাল দাবি করেছে, বেশিরভাগ শিশু যারা করোনা আক্রান্ত হয়, তাদের দেহে ছ’দিনে যেমন উপসর্গ থাকে, চার সপ্তাহ পেরিয়ে গেলে সেই উপসর্গ কমতে শুরু করে।

ব্রিটেনের কিংস কলেজের অধ্যাপক এমা ডানকান ওই প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, গবেষণার যে রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে তা অত্যন্ত স্বস্তির। তিনি দাবি করেছেন, সংক্রমিত শিশুদের দেহে করোনার উপসর্গ দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। প্রাপ্ত বয়স্কদের শরীরে ৪ সপ্তাহের পর যে লক্ষণগুলি থেকে যাচ্ছে শিশুদের সেই সমস্যা হচ্ছে না। শুধু তাই নয় আরও জানানো হয়েছে, SARS-CoV-2 ভাইরাসে আক্রান্ত অনেক শিশুর দেহে করোনার কোনরকম উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। কিছু ক্ষেত্রে হয়তো সামান্য লক্ষণ প্রকাশ হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই গবেষণা ৫ বছর থেকে ১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে চালানো হয়েছিল। সারা পৃথিবীর প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার শিশু এই গবেষণায় অংশ নেয়।

আরও পড়ুন:বিরোধীরা দেশের বিপক্ষে কথা বলছেন: পেগাসাস ইস্যুতে অবশেষে মুখ খুললেন মোদি

যদিও কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম ঘটনাও দেখা গিয়েছে। অনেক শিশুর শরীরে দেখা গিয়েছে দীর্ঘকালীন অসুস্থতার লক্ষণ। যেসকল উপসর্গ দেখা যাচ্ছে তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি হল ক্লান্তি। এ পাশাপাশি মাথাব্যথা গন্ধে না পাওয়ার মত লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই উপসর্গ অল্প কয়েকদিনের জন্য স্থায়ী হচ্ছে শিশুদের শরীরে।

 

Previous articleমোদি-সাক্ষাৎ হল না, নিরাশ হয়েই কলকাতা ফিরলেন দিলীপ
Next articleমালদহে বড় ভাঙন বিরোধী শিবিরে, বাম-কং ভেঙে তৃণমূলে যোগদান