ট্যাঙ্কার ধর্মঘটে বাড়ছে সঙ্কট, জট কাটাতে মুখ্যসচিবকে চিঠি ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের

ধর্মঘটের জেরে অচলাবস্থা কাটাতে মুখ্যসচিবকে চিঠি দিল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন। গত দু’দিন ধরে চলা অয়েল ট্যাঙ্কার (Oil Tanker) ধর্মঘটের জেরে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় নাজেহাল অবস্থা। শনিবার দুপুর আড়াইটায় পেট্রোলিয়াম (Petroleum) ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসছে। পাশাপাশি, চুক্তি বাতিলের জেরে যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তাতে হস্তক্ষেপ চেয়ে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে (Harikrishna Dwivedi) চিঠি দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন (Association)।

তবে, ধর্মঘট ‌প্রত্যাহারের জন্য ইন্ডিয়ান অয়েলের সঙ্গে ট্যাঙ্কার সংগঠনের শুক্রবারের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। ফলে, আপাতত ধর্মঘটে বহাল রেখেছে ট্যাঙ্কার মালিক সংগঠন। এর জেরে মৌরিগ্রাম ডিপো থেকে পেট্রোল-‌ডিজেলবাহী কোনও ট্যাঙ্কার বেরোয়নি। ৬ জেলার প্রায় ৫০০ ইন্ডিয়ান অয়েলের পেট্রোল পাম্পের মধ্যে প্রায় আড়াইশোটি পাম্প তেলশূন্য।

আরও পড়ুন:শিশু সংক্রান্ত অপরাধে শিখরে ডবল ইঞ্জিনের যোগীরাজ্য, তুলনায় অনেক কম বাংলা

ওয়েস্টবেঙ্গল ট্যাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, চুক্তিবদ্ধ প্রায় ষাটটি ট্যাঙ্কার ইতিমধ্যেই বসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান অয়েল তাদের টেন্ডারে (Tender) পরিবহন খরচ অনেকটাই কমিয়েছে। ফলে ভাড়াও কমিয়ে দেওয়ায় তারা সমস্যায় পড়েছে। দাবি না মানলে লাগাতার আন্দোলন চলবে।  এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে কলকাতার পেট্রোল পাম্পগুলোতেও। পাশাপাশি, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়ার পাম্পগুলিতে তেল সরবরাহ বন্ধ। তাড়াতাড়িই কলকাতা এবং হাওড়ার পাম্পগুলিতে তেলের সঞ্চয় ফুরিয়ে যাচ্ছে। প্লাবন ও করোনা আবহে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।

 

Previous articleপদক হাতছাড়া অদিতির, অলিম্পিক্সে মহিলাদের গলফ ইভেন্টে চতুর্থ স্থানে শেষ করলেন তিনি
Next articleসংক্রমণ কিছুটা কমলেও দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৬১৭ জন