গত ২৪ ঘণ্টায় ত্রিপুরায় ঘটে গিয়েছে একের পর এক নাটকীয় মূহুর্ত । যার শেষ অঙ্কে প্রাথমিক যুদ্ধজয়ের আত্মবিশ্বাসে ভরপুর এক জাতীয় নেতার ক্যারিশমা দেখল গোটা দেশ। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নতুন রূপ দেখে রীতিমতো মুগ্ধ তাঁর দলের সতীর্থরা। শনিবার দলের যুবনেতাদের ওপর হামলার পরেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আগরতলা ছুটে যাওয়ার। দলের যুবনেতাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর। রবিবার দিনের শেষে তারই প্রমাণ দিলেন তৃণমূলের ‘সেনাপতি’।
দিনশেষে আদালত থেকে জামিন পান দলের যুবনেতারা। তাঁদের নিয়েই কোর্ট চত্বর ত্যাগ করেন অভিষেক। আজই কলকাতা ফিরছেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক । প্রথমে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আজ ত্রিপুরায় থেকে আগামীকাল সেখান থেকে ফিরবেন । কিন্তু জরুরি ভিত্তিতে হঠাৎই বদলেছে পরিকল্পনা।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আহতদের দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন। সেই কারণেই জরুরি ভিত্তিতে কলকাতা ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ, ঘটনাপরম্পরায় প্রায় ২৪ ঘণ্টা পেরোলেও, আহত যুব নেতাদের তেমন কোনও চিকিৎসা হয়নি। তাই বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে কলকাতা ফিরছেন তাঁরা।
বিকেলে গ্রেফতার হওয়া দেবাংশু, সুদীপ, জয়া-সহ ১৪ জন তৃণমূল নেতা-নেত্রীর জামিন মঞ্জুর করে আদালত। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর তৃণমূল নেতাদের(TMC Youth Leaders) আদালতে পেশ করা হয়। আইনি লড়াইয়ে ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয় তাঁদের। জামিন পাওয়া নেতাদের নিয়ে আগরতলায় যান কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, দোলা সেনরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও(Abhishek Banerjee) আগরতলায় যান।
এদিন মূল মামলায় সকলের জামিন হয়েছে। আদালত সূত্রে খবর তেলিয়ামুড়া থানায় দায়ের হওয়া মূল মামলায় জামিন হয়েছে এই চার যুবনেতার। তবে আমবাসা থানার কেস আদালত শুনতে চায়নি। বরং এই অতিরিক্ত মামলা কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন বিচারক। জামিনের শর্ত অনুযায়ী লোকাল বন্ড দেওয়া হয়েছে।
অভিষেকও খোয়াই থানা থেকে ফেরেন আগরতলায়। তিনি বলেছিলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত গ্রেফতার হওয়া নেতা–কর্মীরা জামিন পাচ্ছেন, থানায় বসে থাকবেন তিনি। সেইমতো প্রায় সারাদিনই খোয়াই থানায় বসেছিলেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আইনি প্রক্রিয়া চলাকালীন সেখান থেকে এক পাও নড়েননি তিনি।