সুদীপকে মমতার স্নেহের পরশ! হাসপাতাল থেকে দেবাংশুকে ফোন মুখ্যমন্ত্রীর

রবিবার মধ্যরাতে বিশেষ বিমানে আগরতলা থেকে কলকাতায় ফেরেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন ত্রিপুরায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত, রক্তাক্ত দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত, সুদীপ রাহাও। এরপর দমদম বিমানবন্দর থেকে সরাসরি জয়া দত্ত, সুদীপ রাহাকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএমে-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে। যদিও দেবাংশুকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।

এদিকে আজ দুপুরে যখন সুযোগ রাখা ওজা দত্তকে উঠবার পর থেকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় ট্রমা কেয়ার সেন্টারে। সেখানে বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা হয় দু’জনের। পরে আবার উডবার্ন ওয়ার্ডে তাদের ফিরিয়ে আনা হয়।

আরও পড়ুন:শেষ সপ্তাহে রণকৌশল ঠিক করতে খাড়গের বাড়িতে বৈঠকে তৃণমূলসহ ১৫ বিরোধীদল

তৃণমূলের অভিযোগ, পুলিশের সামনে দাঁড় করিয়ে রেখে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে এ রাজ্য থেকে ত্রিপুরায় যাওয়া তিন ছাত্র-যুব নেতাকে। এরপর ৩৬ ঘণ্টা কোনও চিকিৎসা হয়নি, কাউকে এক গ্লাস জল দেয়নি। রক্তাক্ত অবস্থাতেই পড়ে ছিলেন সুদীপ, জয়ারা। অথচ বর্বোরোচিত অমানবিক আচরণ পুলিশের। যারা আক্রান্ত তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে কোথায় তোলা হলে জামিনে মুক্তি পান তৃণমূলের ১৪ জন কর্মী-সমর্থক। যাদের মধ্যে ছিলেন কলকাতা থেকে যাওয়া দেবাংশু, সুদীপ, জয়ারা। এদিন সকালে ঝাড়গ্রাম সফরে যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালে গিয়ে দেখে আসেন সুদীপ, জয়াকে। মুখ্যমন্ত্রী সুদীপের মাথায় হাতও বুলিয়ে দেন। এরপর হাসপাতাল থেকে ফোন করে দেবাংশুর শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন।

 

Previous articleশেষ সপ্তাহে রণকৌশল ঠিক করতে খাড়গের বাড়িতে বৈঠকে তৃণমূলসহ ১৫ বিরোধীদল
Next articleবায়োপিকে অনীহা, এবার ৯০ মিটার দূরত্বে বর্শা ছোড়াই পরবর্তী পরিকল্পনা নীরজের