বাহাত্তরে অবসর! শূন্যে নেমে অবশেষে নীতি বদলের পথে বামেরা

প্রবীণের ভিড়ে রাজ্যের বাম শিবির জরাগ্রস্ত। নতুন প্রজন্মকে জায়গা দেওয়ার দাবি দীর্ঘদিন ধরে উঠলেও সে দাবিকে খুব একটা কানে তোলেনি নেতৃত্ব। তবে বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে(assembly election) চূড়ান্ত ব্যর্থ হওয়ার পর অবশেষে নীতি বদলের পথে হাঁটতে চলেছে বাম। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবার হয়তো রাজ্যে সিপিএমের(CPIM) চেহারাটাই বদলে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বিমান বসু(Biman Basu), সূর্যকান্ত মিশ্রদের(SuryaKanta Mishra) মত শীর্ষ নেতৃত্বকে সরে দাঁড়াতে হতে পারে পদ থেকে। পরিবর্তে সংগঠনের প্রথম সারিতে উঠে আসবে নতুন মুখ। শুধু তাই নয় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য থাকার জন্য বয়সের উর্ধ্বসীমা ৭৫-এ বেঁধে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েও চর্চা চলছে। কেন্দ্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাজ্য কমিটির ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ বয়স ৭২-এ বেঁধে দিতে চাইছে আলিমুদ্দিন।

বামেদের অন্দরে প্রবীণ নেতৃত্বকে ছেঁটে ফেলার দাবি দীর্ঘদিন ধরেই উঠছে। অবশেষে সেই দাবিতেই সীলমোহর দিতে উদ্যত হয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব। এতকাল বাম শিবিরে বয়সের বিধিনিষেধ না থাকলেও এবার যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সে পথেই হাঁটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্র ও রাজ্য কমিটির বয়সসীমার পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে জেলা কমিটিতেও অবসরের বয়স হবে ৭০। তারও নিচে এরিয়া কমিটির সদস্যদের জন্য অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছরে বেঁধে দেওয়া হতে পারে। তবে সর্বভারতীয় স্তরের আগেই বাংলায় রাজ্য কমিটিতে নতুন মুখ অন্তর্ভুক্তির বয়স ইতিমধ্যেই ৬০ ধার্য করে দিয়েছে আলিমুদ্দিন। দলের দুদিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকে নতুন মুখের প্রাধান্য দেওয়ার দাবিতে সরব হচ্ছে নেতৃত্ব। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবার হয়তো বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, রবীন দেব, মদন ঘোষ, নৃপেন চৌধুরীদের মত পরিচিত মুখকে একসঙ্গে অন্তরালে চলে যেতে হতে পারে।

আরও পড়ুন:সৌমেন্দুও কেন্দ্রীয় জেড! আঙুল চুষছে আদি বিজেপি

উল্লেখ্য, প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে করোনা বিধি মেনে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে সিপিএমের দুদিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক। যেখানে উপস্থিত রয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। বাংলায় সিপিএমের যা হাল তা নিয়ে শুরুতেই উষ্মা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাজ্যে শোচনীয়’ হারের কারণ হিসেবে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে একাধিক বিষয়। তার মধ্যে অন্যতম বামেদের ‘বিজেমূল’ নীতি। বিজেপি ও তৃণমূলকে এক ছাঁচে ফেলে দেওয়ার যে লক্ষ্য বামেরা নিয়েছিল তা বাংলার মানুষ মেনে নেয়নি। শুধু তাই নয়, এই বৈঠকে উল্লেখযোগ্য ভাবে উঠে এসেছে আরও একটি দিক। বাম নেতৃত্ব মেনে নিয়েছে সংযুক্ত মোর্চা গঠন করার যে নীতি নেওয়া হয়েছিল তা অত্যন্ত ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। কেন্দ্রীয় কমিটির তরফে রাজ্য নেতৃত্বকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিকল্প সরকার গড়তে সংযুক্ত মোর্চার ব্যানারে ভোটে লড়াই করা ভুল হয়েছিল। যৌথ ইস্তেহার প্রকাশ করে ভোট লড়াও ঠিক হয়নি। ভুল হয়েছে সংযুক্ত মোর্চার নামে নির্বাচনে নামা।

advt 19

 

Previous articleকলকাতাতেই ডুরান্ড, শুরু ৫ সেপ্টেম্বর
Next articleইংল‍্যান্ডের বিরুদ্ধে শতরান করে সেহবাগকে ছুঁয়ে ফেললেন রাহুল