এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে সক্রিয় বাম-বিজেপি

বাংলাজুড়ে চলছে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির। ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প নিয়ে বেনজির উৎসাহ রাজ্যবাসীর৷ এবার শিবিরে আসা মহিলাদের ফর্মপূরণে সাহায্য করছেন স্থানীয় বিজেপি ও সিপিএম নেতা-কর্মীরা৷ শিবিরের কাছাকাছি আলাদা চেয়ার-টেবিল পেতে এই দুই দলের কর্মীরা রীতিমতো ব্যস্ত ফর্ম পূরণ করে দিতে৷ এমনই ছবি ধরা পড়েছে পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড় এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে৷ পানগড় বাজার জুনিয়র হাই স্কুলে বসেছে দুয়ারে সরকার শিবির৷

আরও পড়ুন-মমতার হাত ধরে বাংলায় স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য, বলছে মোদি সরকারের রিপোর্ট কার্ড!

সেখানে স্থানীয় মহিলাদের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর ফর্মপূরণে স্কুলের পাশেই বসেছেন সিপিএমের কর্মীরা৷ মহিলাদের ফর্ম পূরণ করে দিচ্ছেন বাম নেতা-কর্মীরা। শিবিরে আসা এলাকার তৃণমূল শিবিরের বক্তব্য, ‘‘ভোটের সময় সিপিএম এই সব প্রকল্প নিয়ে তুমুল সমালোচনা করেছিল৷ এখন সম্বিত ফিরেছে৷’’ এই একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে মেদিনীপুর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডেও। মেদিনীপুর শহরের কর্নেলগোলায় নারায়ণ বিদ্যাভবন বালিকা বিদ্যালয়ে চলছে ওই শিবির। সেই শিবিরের বাইরে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে সিপিএমের শাখা দফতরের বাইরে রয়েছেন সিপিএম নেতা-কর্মীরা। মহিলাদের ফর্ম পূরণ করে দিচ্ছেন বাম শিবিরের কর্মীরা।

আরও পড়ুন-তালিবান সরকারকে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় স্বীকৃতি দেওয়া উচিত নয়, মন্তব্য পপস্টার আরিয়ানা সইদের

পাশাপাশি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে দেখা গিয়েছে একই ছবি৷ কুলতলি কুণ্ডুখালি বিশ্বনাথ বিদ্যালয়ের দুয়ারে সরকার শিবিরের পাশে বসেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীরা৷ ফর্মপূরণ করে দিতে তাঁরাও কাজে নেমেছেন৷ স্থানীয় বিজেপি-র বক্তব্য, ‘‘বিজেপি সবসময়ই সাধারণ মানুষের পাশে থাকে, এখানেও আছে।’’ এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক গণেশচন্দ্র মণ্ডল কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পগুলি জনস্বার্থযুক্ত, তা প্রমাণ হয়েছে সাধারণ মানুষের যোগদান দেখেই৷ বিজেপি এমনিতেই বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে৷ অস্তিত্ব রাখতে ওরা শিবিরে এসেছে।’’

advt 19

 

Previous articleকরোনা সচেতনতার প্রচারে শিব-যমরাজ!
Next article‘আমরা আশাবাদী ইতিবাচক কিছু ঘটবে’ : দেবব্রত সরকার