চাকরিজীবী নারী-পুরুষের মধ্যে বিয়ে বন্ধে আইন চাইলেন সাংসদ

খায়রুল আলম (ঢাকা) : বাংলাদেশে বেকারত্ব একটি বড় সমস্যা। আর এই সমস্যা সমাধানের বড় পথ কর্মসংস্থান সৃষ্টি। তবে কর্মসংস্থান বা উদ্যোক্তা তৈরি নয়, চাকরিজীবী নারী ও চাকরিজীবী পুরুষের মধ্যে বিয়ে বন্ধ করে দিলেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে মনে করেন বগুড়া-৭ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সাংসদ রেজাউল করিম।

এ জন্য একটি আইন করারও দাবি তুলেছেন সাংসদ রেজাউল। আর সেই দাবি তুলেছেন জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে। অবশ্য তার এই দাবি তাৎক্ষণিকভাবেই অনেকটা খারিজ করে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এর আগে গত বছর জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যে ধর্ষণের জন্য নারীবাদীদের দোষারোপ করে সমালোচিত হয়েছিলেন বগুড়ার এই সাংসদ।

আজ, শনিবার সংসদে ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ বিল-২০২১’–এর ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে রেজাউল বলেন, চাকরিজীবী পুরুষ চাকরিজীবী নারীকে আর চাকরিজীবী নারী চাকরিজীবী পুরুষকে বিয়ে করতে পারবেন না। এই আইন আনলে বেকার সমস্যা থাকবে না। স্বামী–স্ত্রী উভয়ে চাকরি করলে সন্তানকে ঘরে রেখে যেতে হয়। এতে অনেক শিশু নির্যাতনের শিকার হয়। এই আইন করলে এ রকম নির্যাতনও কমে যাবে বলে মনে করেন এই সাংসদ।

আরও পড়ুন-ভারত -বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে  গ্রেফতার এক বাংলাদেশী নাগরিক

রেজাউল করিমের এই বক্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘এ রকম প্রস্তাব নিয়ে আমি এখান থেকে দুই কদমও হাঁটতে পারব না। আমি জনপ্রতিনিধি। বাক্স্বাধীনতা আছে। তিনি (বাবলু) স্বাধীনভাবে যা ইচ্ছা তা–ই বলতে পারেন। আমি যা ইচ্ছা তা–ই করতে পারি না।’

এর আগে গত বছরের ১৭ নভেম্বর সংসদে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল-২০০০’ সংসদে পাস হওয়ার সময় রেজাউল করিম বলেছিলেন, ‘নারীবাদীরা নারী স্বাধীনতার কথা বলে নারীদের উন্মুক্ত করে চলছে। এ কারণেই ধর্ষকেরা ধর্ষণের অনুভূতিকে এতটা অ্যাকসেপ্ট করেছে, ধর্ষণে উত্সাহিত হচ্ছে।’

advt 19

 

Previous article২৫ লক্ষ টাকা জিতলেও, কেবিসি-তে ধোনিকে নিয়ে প্রশ্ন হোঁচট সৌরভ-সেহবাগের
Next articleমিশন ত্রিপুরা: সুস্মিতা দেবের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিলেন ৪ পঞ্চায়েত সদস্য