উপনির্বাচন: শুভেন্দু-সুজনকে তুলোধোনা করে কমিশনের প্রশংসায় ফিরহাদ

বারাসতের নোয়াপাড়ায় বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি এসকেএম মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটালের উদ্বোধন করতে এসে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে (Sujan Chakraborty) তুলোধোনা করে নির্বাচন কমিশনকে প্রশংসা করলেন রাজ্যের পরিবহণ ও আবাসন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। আগামী দিনে স্বাস্থসাথী কার্ডের সার্বিক গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে বলেও দাবি করলেন।

পরিবহণ মন্ত্রী ছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার, জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি কৃষ্ণগোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। উপনির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদ বলেন, “দের আয়ে দুরস্ত আয়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১৩ কেন্দ্রেই জিতেছেন। আমিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে জিতেছি। মানুষ চান উনি বাংলার মানুষের মুখ্যমন্ত্রী থাকুন। অনেক টালবাহানার শেষে বাংলার মানুষের প্রত্যাশাকে মর্যাদা দিয়ে নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচন ঘোষণা করেছেন। সব জায়গায় হলেই ভাল হত। হয়তো পরে বাকি কেন্দ্রের নোটিফিকেশন জারি করবে কমিশন।” উপনির্বাচন নিয়ে মুখ্যসচিবের তৎপরতা আইনি জটিলতা সৃষ্টি করবে না বলেই মনে করেন তিনি।

আরও পড়ুন- প্রাক্তন দেহরক্ষীর মৃত্যুতে CID-এর হাতে চাঞ্চল্যকর নথি! চাপ বাড়ছে শুভেন্দুর, ড্রাইভারকেও তলব

ভবানীপুর উপনির্বাচন প্রসঙ্গে বিজেপি ও শুভেন্দু অধিকারীর সমালোচনাকে নস্যাৎ করে তাঁর পাল্টা বক্তব্য, কখন কোন দলে আছেন উনি নিজেই জানেন না, তাই ওঁর কথার জবাব দেওয়ার প্রশ্ন নেই। উপনির্বাচন ঘিরে সুজন চক্রবর্তী ও বাম তথা সংযুক্ত মোর্চার সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, “দিদিভাই মোদিভাই করতে করতে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছেন সুজনদারা। ভগবান ওঁদের ক্ষমা করে দিন। ওঁরা জানেন না কী বলছেন।”

নির্বাচন কমিশনের প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়ে ফিরহাদ বলেন, একটা কেন্দ্রকে ছ’মাস প্রতিনিধিহীন রাখা অসংবিধানিক। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রসঙ্গে বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বহু স্বাস্থ্যকেন্দ্র পর্যাপ্ত পরিষেবা দিতে পারছে না। একশ্রেণির নার্সিংহোম মালিক অন্যান্য হেলথ ইনসিওরেন্স কার্ড থেকে বেশি মুনাফার লোভে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে উপেক্ষা করছেন। সরকার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলো যখন সম্পূর্ণভাবে কাজ শুরু করবে, যারা এখন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে উপেক্ষা করছে তখন তারাও মর্যাদা দিতে বাধ্য হবে। বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার এদিন শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন তাঁর জীবনের শিক্ষক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বলেন, ধিক্কার ত্রিপুরার বিজেপি সরকারকে। ওখানে সাড়ে ১০ হাজার শিক্ষককে মেরে চাকরি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে।

আরও পড়ুন- ফের অধিকারী গড়ে ভাঙন, তৃণমূলে যোগ দিলেন ৫০ বিজেপি নেতা-কর্মী

advt 19

 

Previous articleফের অধিকারী গড়ে ভাঙন, তৃণমূলে যোগ দিলেন ৫০ বিজেপি নেতা-কর্মী
Next articleভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উদ্ধার কয়েক কোটির সোনার বিস্কুট