বিজেপি সাংসদকে নিশানা করে কৃষ্ণ বললেন “চন্দনাকে বিয়ে করে অন্যায় করিনি”

বাঁকুড়ার শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে রাজ্যজুড়ে হইচই কাণ্ড। রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা কিংবা সামাজিক লজ্জা থেকে নিজেকে বাঁচাতে ঘটনার শুরু থেকেই দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে যাচ্ছেন চন্দনা। কিন্তু নাছোড়বান্দা কৃষ্ণ। কখনও চন্দনা বিরহে অতিরিক্ত মদ্যপান করে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, কখনও আবার ফেসবুক লাইভ করে দাবি করছেন, বিয়ে করে তাঁরা কোনও ভুল করেননি।

 

একইসঙ্গে ফেসবুকে তাঁদের দল বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কৃষ্ণ কুণ্ডু। তাঁর নিশানায় ছিলেন, বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার। সাংসদের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ করেন, “কারও জন্য কিছু করেনি সাংসদ। শালতোড়া বিধানসভার সমস্ত কাজ একা হাতে করেছি। কাজ শেষ হওয়ার পরই আমাকে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে।”

 

ফেসবুকে কৃষ্ণ কুণ্ডুকে বলতে শোনা যায়, ‘’আপনাদের হয়তো মনে হতে পারে যে আমরা যেটা করেছি সেটা ভুল। কিন্তু ভুল নয়। আমরা যেটা করেছি সেটার প্রয়োজন আছে। বিজেপির কিছু করার আছে? দলকে শিক্ষা দেওয়া দরকার ছিল। ওদের বোঝা প্রয়োজন।”

 

প্রসঙ্গত, কৃষ্ণ কুণ্ডুর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বিরুদ্ধে। বাড়ি থেকে পালিয়ে স্থানীয় এক দুর্গামন্দিরে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। এরপর তোলপাড় রাজনীতি। গত বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়া জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করতে যান বিজেপি বিধায়ক। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। কারণ, বিধায়ক হওয়ায়, আত্মসমর্পণের আবেদন করতে হবে উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসাতের বিশেষ আদালতে।

 

চন্দনা বাউড়ি এবং নিজের স্বামী কৃষ্ণর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ রুম্পা কুণ্ডু। এরপর বিজেপি বিধায়ক চন্দনা ও কৃষ্ণ কুণ্ডুর বিরুদ্ধে, ভারতীয় দন্ডবিধির ৪৯৮-এ ধারায় বধূ নির্যাতন, ৪৯৪ ধারায় বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, ৪০৬ নম্বর ধারায় বিশ্বাসভঙ্গ ও ৫০৬ নম্বর ধারায় হুমকি দেওয়ার মামলা রুজু করে।

 

advt 19

 

Previous article“তৃণমূলে যোগদানে রাগ!” বিপ্লবের গ্রেফতারের হুমকিতে পাল্টা তোপ কুণালের
Next articleযুদ্ধ শেষ করে শান্তির আলোচনায় বসতে রাজি মাসুদ বাহিনী, প্রতিক্রিয়া নেই তালিবানের