বুর্জোয়া কাগজে মমতার প্রশংসায় সিপিএমের দীপ্সিতা, এবার কী করবে আলিমুদ্দিন?

প্রশ্ন ছিল, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আপনার কেমন লাগে?” সিপিএমের নতুন প্রজন্মের নেত্রী দীপ্সিতা ধরের উত্তর, ‘‘উনি সাধারণ মানুষের কাছে নিজেকে নেত্রী হিসেবে তুলে ধরতে সফল।’’ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বালিতে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত প্রার্থী CPIM প্রার্থী দীপ্সিতা মুখ্যমন্ত্রী মমতার সম্পর্কে আরও জানালেন, ব্যক্তিগত ভাবে তাঁর পরিচয় নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তবে মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে তাঁর রাজনৈতক মূল্যায়ন, ‘‘আমার মনে হয়, পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের মধ্যে নিজেকে নেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে তিনি সফল হয়েছেন। আমার মনে হয় রাজ্যের সাধারণ মানুষের কাছে তিনি মুখ্যমন্ত্রী, তিনি নেত্রী। বেশ কিছু ক্ষেত্রে বহু মানুষ তাঁকে মাতৃরূপাও মনে করেন।’’

আরও পড়ুন:শুভেন্দু সিআইডির হাজিরা এড়ালেন, অভিষেক ইডি দফতরে পৌঁছলেন সময়ের আগে
এখানেই শেষ নয়। পাশাপাশি দীপ্সিতা এটাও বলেন, ‘‘আমাদের লড়াই বিজেপি-র পাশাপাশি তৃণমূলের বিরুদ্ধেও। আর তৃণমূলের সব সময়ের মুখ মমতা। আবার মোদী বিরোধী আন্দোলনেও তিনি মুখ হতে চাইছেন। সফল রাজনীতিবিদ তো বটেই।’’

মতাদর্শ আলাদা হলেও তথাকথিত বুর্জোয়া কাগজে সাক্ষাৎকারে মহিলা রাজনীতিবিদ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে খুব গর্বিত দেখিয়েছে সিপিএমের এই নেত্রীকে। তাঁর কথায়, “তিনি এক জন অত্যন্ত সফল মহিলা। এক জন সফল মানুষ। কারণ, আমরা যে পিতৃতান্ত্রিক সমাজের মধ্যে রয়েছি, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে রাজনীতির মতো একটা জায়গায়, সেখানে উনি এত দিন ধরে মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন, এত মানুষের ভালবাসা পেয়েছেন, সেটা অবশ্যই ব্যক্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য, মহিলা হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য একটা সাফল্য।’’

দীপ্সিতা ধর বামেদের নতুন প্রজন্মের নেত্রীদের মধ্যে প্রথমসারিতে। এই প্রজন্মের বাম ছাত্র-যুবদের কাছে খুব জনপ্রিয়। বালি কেন্দ্র থেকে ভোটে হারলেও, প্রচার বেশ বেশ নজর করেছিলেন তিনি। কিন্তু বুর্জোয়া কাগজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যেভাবে প্রশংসায় সিপিএমের দীপ্সিতা, তাতে আলিমুদ্দিন না আবার নতুন করে নড়েচড়ে বসে!

অদূর ভবিষ্যতে হয়তো প্রয়াত অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তার মতো তাঁকেও শো-কজ করা হতে পারে। তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেন আলিমুদ্দিনের ম্যানেজারের। সংশ্লিষ্ট মহলের অনেকেই তেমনটা মনে করছেন। সম্প্রতি, তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলার সম্পাদকীয় পাতায় বেশ কয়েকটি খণ্ডে ধারাবাহিক ভাবে লেখা প্রকাশিত হয়েছিল অধ্যাপিকা অজন্তা বিশ্বাসের। তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে পার্টি। ৬ মাসের জন্য অজন্তাকে সাসপেন্ড করেছে CPM. এবার বুর্জোয়া কাগজে মমতার প্রশংসা করায় আলিমুদ্দিনের রক্তচক্ষু দীপ্সিতার দিকে পড়ে কি-না, সেটাই দেখার!

advt 19

Previous articleশুভেন্দু সিআইডির হাজিরা এড়ালেন, অভিষেক ইডি দফতরে পৌঁছলেন সময়ের আগে
Next articleঊর্ধ্বমূখী তাপমাত্রার পারদ, স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজবে তিলোত্তমা