উপনির্বাচনে বিজেপির প্রচারে নেই মোদি-শাহ, ‘লজ্জার হার বুঝেই পলায়ন’, কটাক্ষ তৃণমূলের

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন বাংলাকে কার্যত দ্বিতীয় বাড়ি বানিয়ে ফেলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) ও অমিত শাহ(Amit Shah)। যদিও তাতে লাভ বিশেষ হয়নি, শোচনীয় পরাজয়ের সাক্ষী থাকতে হয়েছে বিজেপির(BJP) ক্যাপ্টেন ও ভাইস ক্যাপ্টেনকে। জুটেছে একরাশ কটাক্ষ। অন্যদিকে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রে উপনির্বাচনে(bypoll election) আর এমুখো হওয়ার সাহস দেখালেন না বিজেপির ক্যাপ্টেন(নরেন্দ্র মোদি) ও ভাইস ক্যাপ্টেন(অমিত শাহ)। সম্প্রতি ভবানীপুরে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। ঘোষণা করা হয়েছে স্টার প্রচারকদের তালিকাও। তবে সে তালিকায় দেখা গেল না মোদি- শাহকে। নিশ্চিত হারের মুখে মোদি- শাহর এহেন পলায়নে তীব্র কটাক্ষ করলেন তৃণমূল নেতা কৃশানু মিত্র।

আরও পড়ুন:পুলিশকর্মীকে চড় মারার অভিযোগে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

বিজেপিকে রীতিমতো কটাক্ষ করে শুক্রবার এক টুইটে তিনি লিখলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বঙ্গ উপনির্বাচনে বিজেপির তারকা প্রচারকদের তালিকা থেকে অনুপস্থিত। মনে হচ্ছে ওই দলের অধিনায়ক এবং সহ-অধিনায়ক আসন্ন লজ্জাজনক পরাজয় ভাগীদার হতে চান না। তাই মাঝপথে দল থেকে পলায়ন করলেন।” এই টুইট তিনি ট্যাগ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষকে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভবানীপুর উপনির্বাচনে স্টার প্রচারক দের তালিকা প্রকাশ করেছে গেরুয়া শিবির। যেখানে মোদী-শাহ অনুপস্থিত থাকলেও রাজ্য তো বটেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সংখ্যা নিতান্ত কম নয়। অন্তত ২০ জনের এই তালিকায় দিলীপ, শুভেন্দু, রাহুল সিনহা, বাবুল সুপ্রিয়দের পাশাপাশি রয়েছে জন বার্লা, শান্তনু ঠাকুরের মত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। নামানো হচ্ছে পুরো মহিলা ব্রিগেড। তালিকায় রয়েছেন দেবশ্রী চৌধুরী, রূপা গাঙ্গুলী, অগ্নিমিত্রা পাল, লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং স্মৃতি ইরানি। পাশাপাশি তালিকায় আছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি, মনোজ তিওয়ারি দীনেশ ত্রিবেদী শাহনওয়াজ হোসেনের মত নেতারা। তবে তালিকা দীর্ঘ হলেও খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভবানীপুর কেন্দ্রে বিজেপির লড়াই অনেকটা ‘বাঘের মুখে হরিণ শিশু’র মতোই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

advt 19

 

Previous articleবেসরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের বেতন নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ
Next articleটানা তিনমাস বাড়িয়ে আয়কর দাখিলের শেষ সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর