মোদিকে হটাতে মমতাই বিকল্প মুখ: বলছে তৃণমূল

“দেশে বিকল্প মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা বিকল্প হিসেবে জননেত্রীর মুখ সামনে রেখেই গোটা দেশে প্রচার শুরু করব। কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে কখনই বিজেপি বিরোধী বিকল্প বলছি না। কিন্তু রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এখনও নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) বিকল্প মুখ হয়ে উঠতে পারেননি।” উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মিসভা থেকে একথা স্পষ্ট করলেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। ইউনিভার্সিটি ইন্সটিটিউট হলে ২০২৪-এ দিল্লি অভিযানের বার্তা স্পষ্ট করে দেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee), জেলা সভাপতি ও মন্ত্রী তাপস রায়, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, সাংসদ শান্তনু সেনরা।

সম্প্রতি ‘টাইম ম্যাগাজিনে’ বিশ্বের সেরা কুড়ি রাজনীতিবিদের তালিকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) ও নরেন্দ্র মোদির নাম থাকায় এ কথাই উঠেছে- মমতা ছাড়া দেশে বিকল্প মুখ নেই। তৃণমূল নেতৃত্বের মতে, কংগ্রেসকে কোনওরকম অসম্মান নয়। কিন্তু এটাই বাস্তব।

তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ভাষণে বলেন, “দেশে বিকল্প দরকার। আমি রাহুল গান্ধীকে বহুদিন চিনি। কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি যে তিনি এখনও নরেন্দ্র মোদির বিকল্প মুখ হয়ে উঠতে পারেননি।দেশ মমতাকে চাইছে। আমরা সব বিরোধী দলের সঙ্গে কথা বলে মমতাকে বিকল্প মুখ হিসেবে সামনে রেখেই প্রচারে যাব।”

আরও পড়ুন:ছাত্র আন্দোলনে যোগদান, বরখাস্ত অধ্যাপককে ছাঁটাইয়ের পথে বিশ্বভারতী

সুদীপ আরও বলেন, “সংসদীয় কমিটির কাজে গুজরাট, গোয়া গিয়েছিলাম। অনেকের সঙ্গে কথা হল। মানুষ বলছেন আমরা বাংলার বিধানসভা ভোটের ফলের দিকে তাকিয়ে বসেছিলাম। বিজেপি হারায় আমরা খুশি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দেশের হাল ধরতে হবে।”

কুণাল ঘোষ বলেন, “বাংলা তৃণমূলের দুর্গ। এরপর ত্রিপুরায় ২০২৩ সালে সরকার গঠন করবে দল। আর ২০২৪ সালে দিল্লিতে বিজেপিকে সরিয়ে বিকল্প শক্তির ভরকেন্দ্র হবে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গোটা দেশের মানুষ চাইছেন।” তাপস রায়, শান্তনু সেন, বিবেক গুপ্তা, রেহানা খাতুন বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেই দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়েছেন জনগণ।

তবে, কংগ্রেসকে কোনোরকম অসম্মান করেনি তৃণমূল। কিন্তু তাঁদের বক্তব্য রাহুল গান্ধীকে মানুষ মোদির বিকল্প মুখ হিসেবে দেখছে না। রাহুল বারবার সুযোগ পেয়েও পারেননি। কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়েই বিকল্প জোট হবে। তবে, গ্রহণযোগ্য বিকল্প মুখ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে প্রচারে যেতে হবে। এতেই বিকল্প মঞ্চের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে বলে মত তৃণমূল নেতৃত্বের।