সিপিএম-কংগ্রেসকে কেস দেয়নি, সৎ-নির্ভীক পার্টি তৃণমূলকেই টার্গেট করেছে বিজেপি: মমতা

ভবানীপুর উপনির্বাচনে প্রচারে ফের বিজেপি ও কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশজুড়ে নরেন্দ্র মোদির দুঃস্বপ্ন যে একমাত্ৰ তৃণমূল আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেটা এদিন তৃণমূল নেত্রী বুঝিয়ে দিলেন ৭১ নম্বর ওয়ার্ডে শম্ভুনাথ পন্ডিত স্ট্রিটের সভায়।

কেন্দ্রকে নিশানা করে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সিপিএম কত ৩৪ বছর রাজনীতি করেছে বাংলায়। কত অন্যায় করেছে! আজ পর্যন্ত একটাও সিবিআই কেস হয়েছে? একটাও ইডি কেস হয়েছে? আপনারা বলুন। কিচ্ছু করেনি। চিদম্বরমের গায়ে হাত দিয়েছে কিন্তু মেইন লোকের গায়ে তো হাত দেয়নি। আমাদের পার্টির কে বাদ আছে? যে পার্টিটা সবচেয়ে সৎ, নির্ভীক ও সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করে সেই পার্টির সবাইকে টেনেছে। এমনকি সৌগতদার মতো মানুষ, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও বাদ দেয়নি ওরা। ছেলে-মেয়ে থেকে স্কুলের বন্ধুবান্ধব, বাড়ির কাজ লোক পর্যন্ত- কাউকে বাদ দেয়নি।”

এরপরই ফের নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ টেনে নেন আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “আমি ঝুঁকি নিয়ে নন্দীগ্রামে গিয়েছিলাম। কিন্তু এজেন্সি দিয়ে এমন ষড়যন্ত্র ভাবতেই পারিনি। গণনাতেও চুরি করেছে। আমি সবাইকে জিতিয়েছি।

বিজেপির পরিকল্পনা ছিল প্রাণে মেরে দাও। মমতাকে হারাতেই হবে। আসলে ওরা জানে, সবাই বোঝাপড়া করবে, কিন্তু মমতা করবে না। তাই সর্বশক্তি দিয়ে হারাও। ও মাথানত করে না।”

তিনি আরও বলেন, “আপনারা দেখেছেন সেদিন ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করত। এত প্লেন, হাওয়াই জাহাজ! সবটাই নিজেদের। ৫০টা নেতা ৫০টা হেলিকপ্টার নিয়ে ঘুরেছে। আমরা তিনটে হেলিকপ্টার নিয়েছিলাম। ৫০টা প্লেন ভাড়া নিয়েছে। সকালে আসত দুপুরে চলে যেত। দুপুরে আসত বিকেলে চলে যেত। দিল্লিতে ভাত খেয়েছে এখানে লাড্ডু। দিল্লিতে লাঞ্চ করেছে এখানে ডিনার করেছে। দিল্লিতে রুটি খেয়েছে এখানে ব্রেকফার্স্ট করেছে। শুধু দিল্লিই নয় সারা ভারতের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে যত চুনোপুঁটি মন্ত্রী আছে- সবাইকে নিয়ে এসেছে। সঙ্গে বন্দুকধারীদের এনেছে। কী না করেনি! হুইল চেয়ারে দেড়শোর উপর মিটিং করেছি।”

সবশেষে ৭১ নম্বর ওয়ার্ডে শম্ভুনাথ পন্ডিত স্ট্রিটের সভায় স্থানীয় মানুষদের প্রতি ভবানীপুর উপনির্বাচন কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন, “ভবানীপুর থেমে গেলে ভারতবর্ষ জয় করা যাবে না। ভবানীপুর থেমে গেলে উন্নয়ন থেমে যাবে। দেশকে আমরা তালিবানের হাতে দেবো না। আমরা ক্ষমতা চাই না, চাই যাতে দেশের স্বাধীনতা খর্ব না হয়। এই তালিবানিপন্থীদের হাতে দেশ সুরক্ষিত নয়। তাই বৃষ্টি হলেও ছাতা নিয়ে, রেন কোর্ট পড়ে ভোট দিন।”

আরও পড়ুন- যে দল সবথেকে সৎ, সেই দলের নেতাদের বারবার ডাকা হচ্ছে: মমতা

advt 19

 

Previous article৬০ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে নয়া শিখর ছুঁল সেনসেক্স, রেকর্ড গড়ল নিফটিও
Next articleভবানীপুরের সভা থেকে বর্ষায় “বিদ্যুৎস্পৃষ্ট” প্রসঙ্গ টেনে মানুষকে সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর