স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল ভারত সরকার(Indian government)। সোমবার ভার্চুয়ালি আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল মিশন(Ayushman Bharat digital mission) লাঞ্চ করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। এই পদক্ষেপকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানালেন, দেশের গরিব ও মধ্যম বর্গের মানুষের চিকিৎসায় এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। এর মাধ্যমে দেশের প্রতিটি মানুষের একটি নিজস্ব হেলথ আইডি তৈরি করা হবে।

आयुष्मान भारत- डिजिटल मिशन, अब पूरे देश के अस्पतालों के डिजिटल हेल्थ सोल्यूशंस को एक दूसरे से कनेक्ट करेगा।
इसके तहत देशवासियों को अब एक डिजिटल हेल्थ आईडी मिलेगी।
हर नागरिक का हेल्थ रिकॉर्ड डिजिटली सुरक्षित रहेगा: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) September 27, 2021
এই উদ্যোগের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, এখন থেকে প্রত্যেকের একটি নিজস্ব হেলথ আইডি তৈরি হবে। যার মাধ্যমে রোগী এবং ডাক্তার তাদের অতীতের সমস্ত রেকর্ড চেক করতে পারবেন। যেখানে ডাক্তার-নার্স সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর রেজিস্ট্রেশন করা হবে। রেজিস্ট্রেশন হবে হাসপাতাল ক্লিনিক মেডিকেল স্টোরগুলিরও। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, বর্তমানে ডিজিটাল ইন্ডিয়া অভিযান দেশের সামান্য মানুষেরও শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের দেশে এখন ১৩০ কোটি আধার নম্বর, ১১৮ কোটি মোবাইল ব্যবহারকারী, ৮০ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ও ৪৩ কোটি জনধন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। পৃথিবীর কোথাও এই বিশাল সংখ্যাটা নেই।

আরও পড়ুন:কৃষি আইনের প্রতিবাদে ডাকা ভারত বনধে সামিল বাংলাও, জেলায় জেলায় বিক্ষোভ

উল্লেখ্য, ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসে ‘আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল মিশন’-এর ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই ছ’টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরীক্ষামূলক প্রকল্প হিসেবে তা কার্যকর করার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। রবিবার প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল, ‘আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ইউপিআই প্রক্রিয়া যেমন বিপ্লব এনেছে, আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল প্রকল্পও জাতীয় স্বাস্থ্যক্ষেত্রকে অনেকটা বদলে দেবে। অসুস্থ মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন একটি মাত্র ক্লিকে।’ সোমবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই ঘোষণা করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।

এই প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য ভারতীয় নাগরিকদের স্বাস্থ্য পরিচয়পত্র তৈরি। যা তাঁদের ‘হেলথ অ্যাকাউন্ট’ বা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে ‘হিসাবের খাতা’ হিসাবে গণ্য হবে। যাতে মোবাইলের মাধ্যমে তথ্য ভরে দেওয়া যাবে। আর এই ‘হিসাবের খাতা’ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিষেবা দেওয়ার সময় কাজে লাগবে পরিষেবা প্রদানকারীদের।
