বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে তৃণমূলের অভিযোগ নিতে নারাজ ত্রিপুরা পুলিশ, ফোন কেড়ে হেনস্থা

তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Abhishek Banerjee) আটকাতে জারি করা ১৪৪ ধারা নিজেই ভেঙেছেন ত্রিপুরার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। একইসঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, ত্রিপুরা(Tripura) রাজ্যে তিনিই আইন, তিনিই কানুন৷ তিনি যা বলবেন তাই হবে। পুলিশও তাই করবে। আইন-আদালত কী বলল তাতে কী যায় আসে। হলও তাই! মুখ্যমন্ত্রীর নিজে আইন ভাঙলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিতে নারাজ ত্রিপুরা পুলিশ(Police)। উল্টে অভিযোগ জানাতে গিয়ে পুলিশের দ্বারা হেনস্থার শিকার হল তৃণমূলের(TMC) প্রতিনিধি দল। সেই ঘটনার ভিডিও এদিন টুইটারের শেয়ার করেছেন তিনি আমাদের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

আরও পড়ুন:৪০০কোটির বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে বঞ্চনা বাংলাকে, কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি অরূপের

১৪৪ ধারা ভঙ্গের অভিযোগে সোমবার বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে পূর্ব আগরতলা থানায় দলের তরফে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন ত্রিপুরার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মামুন খান মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন জানালে, থানায় উপস্থিত পুলিশ আধিকারিকরা অভিযোগ তো নেননি বরং অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেন। ফোন কেড়ে নেন। অফিসাররা যুক্তি দিতে থাকেন, ইনডোর মিটিং করতে বাধা নেই। সঙ্গে সঙ্গেই মামুন খানরা অর্ডার কপি দেখিয়ে বলেন, ইনডোর- আউটডোর কোথাও মিটিং মিছিল করা যাবে না বলা রয়েছে। এরপর আর কোনও যুক্তিতেই না পেরে শেষে পুলিশ আধিকারিকরা তৃণমূল নেতৃত্বকে বসিয়ে রখে উধাও হয়ে যান৷ খানিক পরে থানার এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিতে পারবেন না।

একঘন্টারও বেশি সময় ধরে পুলিশকে নানা ভাবে বলার পরও তাঁরা কোনও কথাতেই কান দেননি। তৃণমূল নেতা মামুন খান বলেন, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী যেমন তাঁর সরকারের জারি করা ১৪৪ ধারা ভেঙেছেন, একইসঙ্গে ত্রিপুরা হাইকোর্টকে সরকারের তরফে হলফনামা দিয়ে যে ১৪৪ ধারার কথা জানিয়েছিল, সেটিও ভেঙেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। বিপ্লব দেবের পুলিশ অভিযোগ না নেওয়ায় অনলাইনেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাবেন বলে ঠিক করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

advt 19

 

Previous articleশেষদিনে তারকা-প্রচারে ঝড় জঙ্গিপুরে, বিজেপিকে ‘করোনাভাইরাস’ বললেন সোহম
Next articleকরোনার প্রভাব: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বেশি গড় আয়ু কমেছে