দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে বিপাকে মোদি সরকার। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে ২০২০-র ফেব্রুয়ারিতে এক ভয়াবহ দাঙ্গার সাক্ষী হয়েছিল দিল্লি (Delhi Riots)। ওই দাঙ্গার ঘটনায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন আড়াইশোরও বেশি মানুষ। ওই দাঙ্গার ঘটনায় দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) দায়ের হয়েছিল একটি মামলা। সেই মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদ তাঁর নির্দেশে বলেন, দিল্লির দাঙ্গা কখনোই হঠাৎ করে হয়নি। বরং অনেক আগে থেকে রীতিমতো পরিকল্পনা করে, আটঘাট বেঁধেই তা করা হয়েছিল।
এদিনের শুনানিতে বিচারপতি মহম্মদ ইব্রাহিম নামে এক অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবল রতনলালকে খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ইব্রাহিম। তবে ওই খুনের ঘটনায় আর এক অভিযুক্ত মহম্মদ সেলিম খানকে এদিন জামিন দেন বিচারপতি। বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদ রায় ঘোষণা করতে গিয়ে বলেন, ২০২০-র ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে যে দাঙ্গা হয়েছিল তা ছিল একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। বেশ কিছুদিন আগে থেকে রীতিমতো পরিকল্পনা করেই দাঙ্গা ছড়ানো হয়েছিল। আদালতের কাছে যে সমস্ত ভিডিও ফুটেজ জমা পড়েছে তা থেকে স্পষ্ট যে, সরকার ও প্রশাসনের কাজে বাধা দেওয়া ও শান্তি নষ্ট করার লক্ষ্যেই দাঙ্গার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। পরিকল্পনা মত যে সমস্ত এলাকায় দাঙ্গা ছড়িয়ে ছিল সেখানে আগে থেকেই সব সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি খারাপ করে রাখা হয়েছিল। দাঙ্গার সময় সাধারণ মানুষের উপর লোহার রড, লাঠি ও ব্যাট দিয়ে হামলা করা হয়। এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে, শহরে আইন-শৃঙ্খলা নষ্ট করার জন্যই আগে থেকেই সমস্ত পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছিল।
মহম্মদ ইব্রাহিম এদিন তাঁর জামিনের আবেদন বলেন, দাঙ্গা ঘটানোর জন্য তিনি বাড়িতে অস্ত্র রেখেছিলেন তা নয়। নিজের পরিবারের সুরক্ষার জন্যই তিনি বাড়িতে অস্ত্র মজুত করেছিলেন। তবে ইব্রাহিমের ওই যুক্তি খারিজ করে দেন বিচারপতি। শেষ পর্যন্ত এদিন তাঁর জামিনের আবেদনও নাকচ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন- এবার উত্তরাখণ্ডে চিনের অনুপ্রবেশ, যাওয়ার সময় ভেঙে দিয়ে গেল ভারতের ব্রিজ