সল্টলেক, লেকটাউনের মণ্ডপ ঘুরে দেখলেন বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার 

প্রতিবছরই পুজোর সময় লেকটাউন, সল্টলেকে যানজট হয়। যতই আগাম ব্যবস্থা নেওয়া থাক না কেন পুজোর দিনে যানবাহনের চাপে নাজেহাল হতে হয় দর্শনার্থীদের । তা যাতে এবার না হয় তার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। পুজোর দিনে লেকটাউনের যানজট কমাতে বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।

পুজোর দিনে লেকটাউনের যানজট কমাতে বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। সূত্রের খবর, পুজোর কদিন অন্য রুট দিয়ে গাড়ি ঘোরানো হতে পারে।

আজ সল্টলেক, লেকটাউনের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ ঘুরে দেখলেন বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকার। তিনি জানান, যাঁদের করোনা ভ্যাকসিনের ২টি ডোজ নেওয়া হয়েছে গেছে, শুধুমাত্র তাঁদের পুজো মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োগ করা যাবে।

সেইসঙ্গে মঙ্গলবার এবারের পুজোর বিধিনিষেধ নিয়ে ১১ দফা নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। লেকটাউন , সল্টলেকের প্রতিটি পূজা মণ্ডপে যাতে সেই বিধিনিষেধ মেনে চলা হয় সে ব্যাপারেও তিনি পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এবারও হবে না সরকারি কার্নিভাল। নিষেধাজ্ঞা জারি রইল মণ্ডপ চত্বরের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উপরও। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ভিড় এড়াতে খোলামেলা রাখতে হবে পুজো মণ্ডপ। মণ্ডপ হবে চারদিক খোলা।

প্রবেশ এবং বেরনোর পথ হবে আলাদা। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য মণ্ডপে যথেষ্ট জায়গা রাখতে হবে। মণ্ডপে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্কের ব্যবস্থা রাখা বাধ্যতামূলক। যত বেশি সম্ভব স্বেচ্ছাসেবক মণ্ডপে রাখতে হবে। মাস্কে মুখ ঢাকতে হবে তাঁদেরও। দর্শনার্থীদের পাশাপাশি তাঁদেরও মানতে হবে শারীরিক দূরত্ব। পুজোর সময় অঞ্জলি, সিঁদুরখেলা বা দেবীবরণের মতো রীতিনীতি পালন করা যাবে। তবে তা করতে হবে ছোট ছোট দলে। মন্ত্রোচ্চারণের সময় পুরোহিতদের মাইক্রোফোন ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাতে দূর থেকে সেই মন্ত্র শুনতে পান দর্শনার্থীরা। অঞ্জলির ফুল বাড়ি থেকে আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পুজো মণ্ডপে কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা চলবে না।পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে বিচারকরা ভিড় করে মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন না। সর্বোচ্চ দু’টি গাড়ি নিয়ে মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন তাঁরা। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩ পর্যন্ত মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন বিচারকরা। ভিড় কমাতে পুজো কমিটিগুলিকে বৈদ্যুতিন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার প্রচারের পরামর্শ দিয়েছে রাজ্য। পুজো উদ্বোধন কিংবা বিসর্জন জাঁকজমকপূর্ণ করা চলবে না। সম্ভব হলে ভারচুয়ালি সারতে হবে পুজো উদ্বোধন। নদী বা পুকুরে বিসর্জনের ক্ষেত্রে সময় বেঁধে দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট সময় মেনেই প্রতিমা নিরঞ্জন করতে হবে। মণ্ডপ থেকে প্রতিমা সরাসরি ঘাটেই আনতে হবে। মাঝে অন্য কোথাও দাঁড়ানো চলবে না।পুজো সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় অনুমতি নিতে হবে অনলাইনে। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের তরফে কার্নিভালের আয়োজন করা হচ্ছে না।

advt 19

 

Previous articleএবারও বন্ধ বিসর্জনের কার্নিভাল: একগুচ্ছ বিধি-সহ গাইডলাইন প্রকাশ করে জানাল নবান্ন
Next articleপাখির চোখ গোয়া বিধানসভা নির্বাচন: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সংগঠনের কাজে গেলেন গৌতম দেব