এবারও বন্ধ বিসর্জনের কার্নিভাল: একগুচ্ছ বিধি-সহ গাইডলাইন প্রকাশ করে জানাল নবান্ন

আদালতের নির্দেশ মেনে এবারও পুজো মণ্ডপে প্রবেশ নিষেধ। এরই সঙ্গে আর কী কী বিধি মানতে হবে তা নিয়ে গাইডলাইন (Guide Line) প্রকাশ করল নবান্ন (Nabanna)। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (Harikrishna Dwivedi) জানান, এ বছর হচ্ছে না রেড রোডের বিসর্জনের কার্নিভাল (Carnival)। মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী কার্নিভালের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিন মুখ্যসচিব জানিয়ে দিলেন, এবছর কার্নিভাল বন্ধ।
আর কী কী নির্দেশ রয়েছে গাইডলাইনে?

আরও পড়ুন-কালীঘাটে যজ্ঞ করে, মাথা মুড়িয়ে বিজেপি নিধনের শপথ ত্রিপুরার বিধায়ক আশিস দাসের

• পুজো মণ্ডপ যথা সম্ভব খোলামেলা করতে হবে

• প্রবেশ ও প্রস্থানের জন্য সেখানে আলাদা গেট রাখতে হবে

• দর্শনার্থীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক

• যাঁদের মাস্ক থাকবে না, মণ্ডপ সংলগ্ন এলাকায় পুজো কমিটি তাঁদের মাস্ক দেবে

• পুজো মণ্ডপে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন, যাঁরা করোনা সুরক্ষাবিধি মানা হচ্ছে কি না তা দেখবেন

• পুজোর অনুমতি সংক্রান্ত বিষয় অনলাইনে করার চেষ্টা করতে হবে

• পুরোহিতকে মাইকে অঞ্জলির মন্ত্রোচ্চারণ করবেন

• অঞ্জলি দিতে দর্শনার্থীদের সঙ্গে করে ফুল নিয়ে যেতে হবে

• পুজো মণ্ডপের আশপাশে কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না

পুজো উদ্বোধন বা প্রতিমা বিসর্জনের ক্ষেত্রে বাহুল্য করা যাবে না। নিরঞ্জনের ঘাট পুরোপুরি জীবাণুমক্ত রাখতে হবে। কোনও ভাবেই কোনও কার্নিভাল করা যাবে না।

আরও পড়ুন-অনুমতি ছাড়া কী করে মাদক-পার্টিতে শাহরুখ-পুত্র, তদন্তে এবার সামিল মুম্বই পুলিশও

পুজোয় পুরস্কারের ক্ষেত্রেও বিধি-নিষেধ রয়েছে। যে সংস্থাগুলির তরফে পুরস্কার দেওয়া হবে, তারা যথাসম্ভব কম লোক নিয়ে মণ্ডপ পরিদর্শন করবে। একই সময়ে বিচারকমণ্ডলীর তরফে দুটির বেশি গাড়ি যেন মণ্ডপ চত্বরে না ঢোকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। পুজোর নান্দনিক বিচার ‘ভার্চুয়ালি’ হওয়াই কাম্য বলে গাইডলাইন উল্লেখ করা হয়েছে। বিচারকদের যদি একান্ত মণ্ডপ-চত্বরে যেতে হয় তবে তা সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টের মধ্যে যেতে হবে।

এই নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য থাকবে পুজো কমিটি এবং ক্লাবগুলি।

যে কোনও জরুরি পরিস্থিতিতে দমকল বিনামূল্যে পরিষেবা দেবে। বিদ্যুতের খরচে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। আর্থিক সহায়তা দানের লক্ষ্যে পুজো কমিটিগুলিকে ৫০,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

যেকোনো রকম প্রয়োজনে পুজো কমিটিগুলিকে সাহায্য করবে পুলিশ-প্রশাসন।

advt 19

 

Previous articleটালিগঞ্জের বিরুদ্ধে জয় লক্ষ‍্য মহামেডান কোচ চেরনিশভের
Next articleসল্টলেক, লেকটাউনের মণ্ডপ ঘুরে দেখলেন বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার