হর্নের আওয়াজ বদলে যাবে সুমধুর বাদ্যযন্ত্রে! নয়া ভাবনার কথা জানালেন নীতিন গডকড়ি

জ্যামে পড়ে ক্রমাগত হর্নের আওয়াজ, অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনে কান ঝালাপালা হওয়ার জোগাড়। কমবেশী সকলেরই মনে হয়,উফ! কখন জ্যাম থেকে মুক্তি পাব। যেন একটা অস্বস্তিকর অবস্থা। তবে যদি এই আওয়াজই বদলে যায় সুরেলা বাদ্যযন্ত্রে, তবে ব্যাপারটা মন্দ হয় না, তাই না?এমনই অভিনব পরিকল্পনা করেছেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি। সোমবার নাসিকে একটি হাইওয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা জানিয়েছেন তিনি।

এদিন অনুষ্ঠানের পর তিনি বলেন, ‘কনভয় যাওয়া সময়ে কর্কশ শব্দ খুবই বিরক্তিকর। তার বদলে সুরেলা কিছু বাজলে শব্দদূষণ কম হবে।’ অর্থ্যাৎ হর্ন-এর কান ঝালাপালা শব্দ বদলে সেখানে বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ আসবে। এই নিয়ে একটি আইনও আনা হবে। এই আইনে কেবলমাত্র ভারতীয় বাদ্যযন্ত্রের শব্দই গাড়ির হর্ন হিসেবে ব্যবহার করার কথা ভাবা হয়েছে। তিনি আরও জানান,  অল ইন্ডিয়া রেডিও-তে ভোরের দিকে একটি বাজনা শোনা যেত, তা অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনের জায়গায় ব্যবহারের কথা ভাবছেন তিনি। এমনকী মন্ত্রীদের গাড়িতে ব্যবহৃত সাইরেনের আওয়াজ বদলানোর কথাও ভাবা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বিশ্বের প্রথম ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দিল WHO

বেশ কয়েকটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে শহুরে এলাকায় যানবাহনের শব্দ একটি বড় চিন্তার কারণ। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক জংশনে ডেসিবেল স্তর পর্যবেক্ষণ করেছে। চেন্নাই, দিল্লি, কলকাতা, মুম্বই এবং হায়দরাবাদের মতো শহরগুলিকে দেশের সবচেয়ে শব্দ দূষণে আক্রান্ত হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী আবাসিক এলাকায় শব্দের মাত্রা দিনের বেলায় ৫৫ ডেসিবেলের (রাতে ৪৫ ডেসিবেল) বেশি হওয়া উচিত নয়। তাই সুরেলা বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করে যদি শব্দদূষণ রোধ করা যায় তাহলে এর থেকে ভালো আর কিছুই হতে পারে না।

advt 19

Previous articleদিনহাটা কেন্দ্রে মনোনয়ন জমা দিলেন তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ
Next articleময়নাগুড়িতে একই গ্রামের তিন বাড়িতে সিঁধ কেটে পরপর চুরি