উপনির্বাচনের চার কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, নেই কোনও চমক

তৃণমূল ও বামেদের পর এবার রাজ্যে আসন্ন চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনের (WB By-Elections 2021) জন্য প্রার্থী ঘোষণা করল প্রধান বিরোধী দল বিজেপি (BJP)। এবার চমক থেকে বেরিয়ে স্থানীয় এলাকা থেকেই প্রার্থী বাছাই করেছে গেরুয়া শিবির।

চার কেন্দ্রের মধ্যে এখনও কিছুটা সুবিধাজনক জায়গায় শান্তিপুর। একুশের নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তিনি ইস্তফা দেওয়াতেই ফের ভোট হচ্ছে শান্তিপুরে (Shantipur)। এই কেন্দ্রে বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন বিশ্বাসকে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির। পেশায় স্কুল শিক্ষক নিরঞ্জনবাবুর বাড়ি শান্তিপুর বিধানসভারই অন্তর্গত গোবিন্দপুর গ্রামে।

উপনির্বাচনে কোচবিহারের দিনহাটা (Dinhata) কেন্দ্রকে পাখির চোখ করেছে গেরুয়া শিবির। একুশের ভোটে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন নিশীথ প্রামানিক, যিনি এখন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তাঁর ইস্তফা দেওয়াতেই ফের ভোট হচ্ছে শান্তিপুরে। দিনহাটায় গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী প্রাক্তন তৃণমূল নেতা অশোক মণ্ডলকে। অশোকবাবু একসময় তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের টিকিটে জিতে আসা প্রথম বিধায়ক তিনি। সেবারে বর্তমান তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহকেই হারান অশোকবাবু। এক সময় তৃণমূল করলেও আদি বিজেপির তালিকাতেই ধরা হয় তাঁকে। ২০১১ থেকে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে তাঁর। ২০১৬ নাগাদ বিজেপিতে যোগ দেন।

এদিকে কলকাতা লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহে (Khardah) অনেককেই পিছিয়ে বিজেপি। খড়দহে বিজেপির টিকিটে লড়ছেন জয় সাহা। বয়সে তরুণ উত্তর শহরতলির বিজেপির যুব মোর্চার সম্পাদক জয় বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। এখানে একুশের ভোটে বড় ব্যবধানে জিতেছিলেন তৃণমূল নেতা প্রয়াত কাজল সিনহা। তাঁর মৃত্যুর জন্যই উপনির্বাচন।

অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায় (Gosaba) গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী পলাশ রানা। বয়সে তরুণ পলাশও একসময় তৃণমূলে ছিলেন। পেশায় ব্যবসায়ী। এই কেন্দ্রেও অনেকটাই এগিয়ে তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের জয়ী বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের প্রয়াণে এই আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে।

আরও পড়ুন:কাকভোরেই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বালুচিস্তান, মৃত অন্তত ২০

advt 19

 

Previous articleআইএফএ-র উদ্যোগে বল পায়ে দেব, মন কাড়ল ফুটবল প্রেমীদের
Next articleফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি! পুজোর মধ্যেও বৃষ্টি থেকে রেহাই নেই বঙ্গবাসীর