ঢাক ছাড়া পুজো হয় না, কেমন আছেন ঢাকিরা?

কেউ এসেছেন বর্ধমানের পূর্বস্থলী থেকে কেউবা আবার বীরভূমের তারাপীঠ থেকে। বছরভর চাষ-আবাদ বা অন্যকিছু করে চলে সংসার। পুজোর কয়েকটি দিন বাড়তি কিছু উপার্জনের জন্য।আপাতত ঠিকানা শিয়ালদহ স্টেশন চত্বর। কারও কাছে ঢাক, তো কেউ কেউ দল নিয়ে বাজাচ্ছেন কুরকুরে। ঠিক ধরেছেন, এঁরা প্রত্যেকের পরিচয় ঢাকি হিসেবে।

পুজো মানেই ঢাক। আর ঢাক ছাড়া মায়ের আরাধনা সম্পূর্ণ হয় না। আশ্বিনের শারদের প্রাতে এই ঢাকের শব্দেই মুখরিত হয়ে ওঠে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। ঢাকের বাদ্যি মায়ের আগমনী বার্তার জানান দেয় বাঙালি হৃদয়ে।

তবে গত বছরের মতো এবারও শিয়ালদহ চত্বরে নেই সেই চেনা ছবি। মহামারি পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনও হল ফেরেনি ঢাকিদের। বাংলার বিভিন্ন জেলা, বিভিন্ন গ্রামে থাকা ঢাকিরা দল বেঁধে তৃতীয়া-চতুর্থী ও পঞ্চমীতে হাজির হত শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে। সেখানেই সকলে মিলে ঢাক বাজাত। হয় বায়না। সেখান থেকেই শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন পুজো কমিটি তাঁদের সঙ্গে দর কষাকষি করে নিয়ে যায় মন্ডপে মন্ডপে। কিন্তু এ বছরও পরিস্থিতির সেভাবে উন্নতি হয়নি। চলছে না লোকাল ট্রেন। পুজোয় নেই চেনা রসনাই। পুজোতে আয়োজন যৎসামান্য, তাই ঢাকিদের বদলে অনেকে সিডি বা অনলাইনেই কাজ সেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছেন।

অন্যদিকে, বায়না পেলেও কলকাতায় পৌঁচ্ছতে পারছেন না এক শ্রেণীর ঢাকিরা। কারণ গাড়ি করে আসতে যেতে যা খরচ, তা দিতে গেলে পকেট থেকেই টাকা যাবে। আয় তো কিছুই হবে না। তাই ম্লান মুখেই অনেকে দিন কাটাবেন বাড়িতে। আবার যাঁরা এসে পৌঁছেছেন, তাঁদের মুখেও নেই সেই হাসি।

advt 19

 

 

Previous articleকৃষক খুনে অভিযুক্ত মন্ত্রীপুত্র আশিসকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের
Next articleব্রিটিশ আমল থেকে বিবর্তনের মধ্য দিয়েও অমলিন নিউ দিল্লি কালীবাড়ির পুজো