লোকসভার স্পিকার ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের আলোচনার মাধ্যমে সংসদে স্থায়ী কমিটির(permanent committee of parliament) পুনর্গঠন হয়েছে। আর সেই কমিটিতে তৃণমূল সাংসদ(TMC MP) হিসেবেই জায়গা পেয়ে গেলেন একুশের নির্বাচনী বিজেপির মঞ্চ আলোকিত করে বসে থাকা শিশির অধিকারী(Shishir Adhikari) ও দিব্যেন্দু অধিকারি(Dibyendu Adhikari)। আর এই ঘটনাতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বঙ্গে দলবদল আইন নিয়ে সরব হয়ে ওঠা বিজেপি(BJP) কেন্দ্রে কেন দ্বিমুখী নীতি পালন করছে!
শনিবার সংসদের একাধিক স্থায়ী কমিটির পুনর্গঠন হয়েছে। আর সেখানেই শিশির জায়গা পেয়েছেন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে। দিব্যেন্দু রসায়ন-সার মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে। পাশাপাশি তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় খাদ্য, গণবণ্টন মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান পদে থাকছেন। তবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে জিতে আসা বিজেপির ১৮ জন সাংসদের মধ্যে কাউকেই চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়নি।
আরও পড়ুন:রাজধানীতে জঙ্গি হানার আশঙ্কা, উৎসবের মরসুমে কড়া নজরদারি
প্রসঙ্গত, স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠনে কেন দেরি করা হচ্ছে তা নিয়ে রীতিমতো সরব ছিলেন কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ ও তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েনরা। শনিবার এই কমিটি পুনর্গঠনের পর দেখা যায় তৃণমূলের তরফে শিশির ও দিব্যেন্দুর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন এ পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো সত্ত্বেও তৃণমূল সাংসদ হিসেবে কমিটিতে জায়গা পেয়ে গিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে এই কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন তৃণমূলের নতুন রাজ্যসভা সাংসদ জহর সরকার ও সুস্মিতা দেব। শিক্ষা, নারী, শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়েছে সুস্মিতাকে। পাশাপাশি, পরিবহণ মন্ত্রক থেকে সরিয়ে ডেরেককে রাখা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটিতে। আগের মতোই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটিতে রয়েছেন রাহুল গান্ধী। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে অর্থ মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটিতে রাখা হয়েছে।