বাজার অগ্নিমূল্য, দেবী লক্ষ্মীর আরাধনায় নাভিশ্বাস বাঙালির

কোজাগরী পূর্ণিমায় ধনসম্পদের দেবী লক্ষ্মীর আরাধনায় নাভিশ্বাস বাঙালির। বাজার অগ্নিমূল্য। ভুরিভোজ ছাড়া বাঙালির দুর্গাপুজো কল্পনাই করা যায় না। পুজোর ক’দিন বেলাগাম খরচে এমনিতেই গৃহস্থের পকেটে টান। তার উপর সৌভাগ্য কামনায় লক্ষ্মী পুজোর সামগ্রী কিনতে বাজারে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ।

বাজারে আপেল বিকোচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। বেদানা ১২০ টাকা, নাসপাতি ৭০ টাকায়। ছোট ছাঁচের লক্ষ্মী প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে ১৫০- ৪০০ টাকা দরে। এমনকি সুযোগ বুঝে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত দর হাঁকাতেও কসুর করছেন না বিক্রেতারা। আর একটু বড় লক্ষ্মী প্রতিমার দাম প্রায় ৬০০-৮০০ টাকা। এমনই আগুন দামের বাজারে ।

আরও পড়ুন- বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কেরল , মৃত ১৮ , নিখোঁজ বহু , উদ্ধারে সেনা

কোজাগরি লক্ষ্মীপুজোর অন্যতম বৈশিষ্ঠ্য নারকেল নাড়ু ও খইয়ের মোয়া। সাইজ অনুসারে ৫০-৬০ টাকায় বিকোচ্ছে একটি নারকেল। ঘরে নারকেল নাড়ু বানাতে গেলে চিনি ও গুড়ও প্রয়োজন। পুজোর মরসুমে প্রতি কিলোগ্রামে গুড়ের দামও দাঁড়িয়েছে ৭০-৮০ টাকা। মায়ের অন্নভোগের খরচও কম নয়। মহার্ঘ্য আতপ চাল, মুগের ডালও।

ফলের বাজার দরও আকাশছোঁয়া। আঙুর প্রতি কিলোগ্রাম ১৫০ টাকা, কলা ৫০ টাকা প্রতি ডজন, মুসুম্বি লেবু প্রতিটির দাম ১০ টাকা, কমলালেবু ১৫ টাকা প্রতিটি, তরমুজ ৪৫ টাকা। একটি আনারসের দামও ৬০ টাকা।

দামের দৌড়ে পিছিয়ে নেই ফুলের বাজারও। আমাদনির থেকে ফুলের চাহিদা বেশি হওয়ায় দামও চড়ছে ভালই। এক একটি গাঁদাফুলের মালা বিকোচ্ছে ২০-২৫ টাকা দরে। রজনীগন্ধার মালার দাম ৩৫-৫০ টাকা, এক একটি পদ্মফুল ১০-১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পুজোর ঘটের জন্য এক একটি ডাব বিক্রি হচ্ছে ১৫-২৫টাকা দরে।
পুজোর দিনে অনেক বাড়িতেই খিচুড়ি হয়। তরকারির জন্য সব্জিও লাগে। সব্জির বাজারেও যেন আগুন! সব্জি ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, পাইকারি ব্যবসায়ীরা কী দামে সব্জি বিক্রি করছেন, তার উপরই নির্ভর করে ওই সব্জির দাম খুচরো বাজারে কী হবে। বিভিন্ন বাজারে বিভিন্ন এলাকা থেকে সব্জি আসে। তাই এ ক্ষেত্রে ৪- ৫ টাকার ফারাক হতেই পারে।লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করতে গিয়ে এখন হাত পুড়ছে মধ্যবিত্তের।

advt 19

 

Previous articleবৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কেরল , মৃত ১৮ , নিখোঁজ বহু , উদ্ধারে সেনা
Next articleপুঞ্চ রাজৌরি জঙ্গি দমন অভিযানে উদ্ধার আরও চার সেনার দেহ,মৃত বেড়ে ৯