হামলার প্রতিবাদ বাংলাদেশ জুড়ে: সরকারকে চাপে ফেলতেই ষড়যন্ত্র, মন্তব্য মন্ত্রীদের

খায়রুল আলম, ঢাকা: শেখ হাসিনার সরকারকে চাপে ফেলতে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ হচ্ছে। মত বাংলাদেশ মন্ত্রীদের। দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় উত্তাল বাংলাদেশ। দ্রুত বিচারের দাবিতে সোমবার দিনভর নানা জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় বিভিন্ন সংগঠন। হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলা-ভাঙচুরের প্রতিবাদে এবং এতে জড়িতদের বিচার দাবিতে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধকারীরা।

দুর্গাপুজোর মধ্যে গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা শহরের একটি পুজোর মণ্ডপে হামলা হয়। এরপর চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, নোয়াখালি, ফেনি-সহ কয়েকটি জেলায় হামলা হয়। নিহত হন অন্তত ছজন। সরকার কঠোর হলেও থেমে নেই চলছে আক্রমণ।

এ পরিস্থিতিতে রংপুরে পীরগঞ্জের মাঝিপাড়া জেলেপল্লিতে এক তরুণের বিরুদ্ধে ‘ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার’ অভিযোগ তুলে বহু বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এই মধ্যে ৪৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি আরো জানান, সারা দেশের মণ্ডপ-সহ সাম্প্রদায়িক হামলায় মুষ্টিমেয় কয়েকজন জড়িত। তাদের কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এদিকে রংপুরের পীরগঞ্জ প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন কেন্দ্র।তাই সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলতেই সেখানে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড হাসান মাহমুদ।

আরও পড়ুন:৬১ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে ফের শিখরে শেয়ার বাজার, ৪৫৯ পয়েন্ট বাড়ল সেনসেক্স

মন্ত্রী বলেন, “একটা বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্যই এসব ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। কুমিল্লার ঘটনাটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য।”

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ঘটনাগুলি পুলিশ যাওয়ার আগেই ঘটিয়েছে। রাতেই ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ, এপিবিএন, ব়্যাব, বিজিবি গিয়েছে। সেখানে কোনো প্রাণহানি হয়নি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় এমন একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চান তিনি যেখানে থাকবে না কোনো অবিচার, থাকবে না কোনো অন্যায়। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সোমবার শেখ রাসেল দিবস ২০২১-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন সরকার প্রধান। শেখ হাসিনা বলেন, ‘এদেশটা আমাদের। এদেশটা আমরা গড়ে তুলতে চাই একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনায়। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই। সোনার বাংলাদেশ গড়তে চাই, যে দেশে কোনো অন্যায় থাকবে না; অবিচার থাকবে না। মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে।’

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্তদের স্থানীয় জেলা প্রশাসনের তরফে ক্ষতিপূরণ, শাড়ি-কাপড় দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই তাদের বাড়িঘর তৈরি করে দেবে সরকার- আশ্বাস মন্ত্রীর।

advt 19

 

Previous article৬১ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে ফের শিখরে শেয়ার বাজার, ৪৫৯ পয়েন্ট বাড়ল সেনসেক্স
Next articleচন্দননগরে শুরু জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রস্তুতি, প্রশাসনিক নির্দেশে নজর উদ্যোক্তাদের