গড়িয়াহাটের জোড়া খুনের ঘটনায় আটক পরিচারিকা ও তাঁর ছেলে

গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডে জোড়া খুনের ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এক মহিলা ও তাঁর ছেলেকে আটক করল কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা। আজ সকাল থেকেই জোড়া খুনের তদন্তের কিনারা করতে লালবাজার ও ডায়মন্ডহারবার থানায় একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। এরপরই ডয়মন্ডহারবার থেকে কিছু তথ্যের ভিত্তিতে ওই দু’জনকে আটক করা হয়েছে। আজই তাঁদের লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। খুনের সঙ্গে তাঁদের প্রত্যক্ষ যোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আরও পড়ুন:মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দার্জিলিং-কালিম্পং: রাস্তায় ধস, বাড়িতে ফাটল 

পুলিশ সূত্রে খবর, ডায়মন্ড হারবারে থাকেন কলকাতায় পরিচারিকা ও আয়ার কাজ করা মিঠু হালদার নামে এক মহিলা। সুবীর যখন কর্মসূত্রে কলকাতার বাইরে থাকতেন, তখন তাঁর মায়ের দেখভাল করতেন মিঠু। প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দারা মনে করছেন, সুবীর এবং রবীন খুনের ঘটনায় মিঠুর যোগ আছে। শুধু তাই নয়, মিঠু-সহ তাঁর ছেলের ভূমিকাকে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার ভূমিকাও উড়িয়ে দিচ্ছে না তদন্তকারীরা। তাঁদের অনুমান, কাঁকুলিয়া রোডের ওই বাড়ি বিক্রির প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন মিঠুর ছেলেও। তিনিও বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতা নিয়ে আসতেন। গোয়েন্দাদের ধারণা, সম্ভবত বাড়ি বিক্রি সংক্রান্ত কোনও চুক্তি নিয়ে মিঠুর ছেলের সঙ্গে সুবীরের বিবাদ হয়। সেই কারণেই খুন কি না তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

জানা যায়, ওই বাড়িটি অনেকেই কিনতে চেয়েছিলেন। যাঁরা ওই বাড়ি কিনতে চেয়েছিলেন, তাঁদের নামের একটি তালিকাও তৈরি করেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন একাধিক জায়গা থেকে বাড়ি কেনার জন্যে সুবীরবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবে দেড় কোটি টাকার কমে বাড়িটি কিছুতেই বিক্রি করতে রাজি হচ্ছিলেন না তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই দালালদের বুধবারই লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের জেরা করে তথ্য জানার চেষ্টা করবেন গোয়েন্দারা।
advt 19

Previous articleবৃ্ষ্টি-ধসে বিপর্যস্ত পাহাড়: খোলা রাস্তার তালিকা, হেল্পলাইন নম্বর চালু করল প্রশাসন
Next articleজট কেটেছে আরজিকরে, জুনিয়র চিকিৎসকরা প্রত্যেকেই কাজে যোগ দিয়েছেন