লখিমপুর হিংসার(Lakhimpur Kheri violation) শুনানিতে বুধবার যোগী সরকারকে(Yogi govt) তীব্র ভৎসনা করল দেশের শীর্ষ আদালত(Supreme Court)। তদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেরিতে পেশ করা ও মাত্র ৪ জন অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে রাখার জন্য এদিন যোগী সরকারকে তোপ দাগে আদালত। পাশাপাশি আদালতের পর্যবেক্ষণে জানায়, তদন্ত ৫ কদম পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।

এদিন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না বলেন, “আমরা গতকাল রাত একটা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি তদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টের জন্য। অথচ এখন রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। এর আগের শুনানিতে আপনাদের স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছিল একদিন আগে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য।” যোগী সরকারের পক্ষের আইনজীবী হরিশ সালভে এদিন শুক্রবার পর্যন্ত এই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানান। যদিও সে আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।

আরও পড়ুন:এবার রাজ্যজুড়ে সুপারহিট তৃণমূলের অভিনব ‘‘দুয়ারে সিঁদুর খেলা’’ কর্মসূচি

পাশাপাশি লখিমপুর হিংসার ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও মাত্র ৪ অভিযুক্তকে কেন পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়, তদন্ত পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আদালত প্রশ্ন করে, কেন মাত্র ৪ জনের বয়ান নেওয়া হয়েছে, বাকি সাক্ষীদের কেন বয়ান নেওয়া হলো না। পুলিশ হেফাজতে মাত্র চারজন, বাকিদের রাখা হয়েছে জেল হেফাজতে। তাদের কি জিজ্ঞাসাবাদের কোনও প্রয়োজন নেই। এরপর ২৬ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয় আদালতের তরফে। পাশাপাশি সাক্ষী ও আক্রান্ত সকলের বয়ান অবিলম্বে নেওয়ার নির্দেশ এবং সকল সাক্ষীর নিরাপত্তার দিকে সরকারকে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

