“প্রধানমন্ত্রী দেশের ঊর্ধ্বে নয়”, পেগাসাস নিয়ে সুপ্রিম নির্দেশের পর সরব রাহুল

পেগাসাস মামলায়(Pegasus case) কমিটি গঠন করে বুধবার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court)। এই নির্দেশের পর সাংবাদিক বৈঠক করে মোদি সরকারকে(Modi government) তিন প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করলেন কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)। বেআইনিভাবে দেশবাসীর ওপর নজরদারির অভিযোগে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কাঠগড়ায় তুললেন তিনি।‌‌ একই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, প্রধানমন্ত্রী কখনই দেশের ঊর্ধ্বে নন।

 

এদিন রাহুল গান্ধী বলেন, “বিগত সংসদ অধিবেশনে পেগাসাস ইস্যু তুলে ধরেছিলাম। যদিও সরকার এ বিষয়ে কোনরকম উত্তর দেয়নি। আজ শীর্ষ আদালত তার রায় জানিয়েছে। আমরা যে প্রশ্ন তুলেছিলাম সুপ্রিম কোর্ট তাকে সমর্থন করেছে।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমাদের মূলত তিনটি প্রশ্ন। পেগাসাসের মত নজরদারি চালানো সফটওয়্যার কে কিনেছিল? ইজরায়েলের দাবি অনুযায়ী সরকার ছাড়া এই সফটওয়্যার কেউ কিনতে পারে না। কাদের বিরুদ্ধে এই সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছিল? অন্য কোন দেশের কাছে কি আমাদের তথ্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে?”

আরও পড়ুন:আলাপন মামলায় হাইকোর্টে অস্বস্তিতে CAT, রায়দান মঙ্গলে

পাশাপাশি কড়া সুরে রাহুল গান্ধী বলেন, পেগাসাস দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেওয়ার প্রচেষ্টা। এই মামলার তদন্ত যে হচ্ছে এটা শীর্ষ আদালতের অন্যতম একটি বড় পদক্ষেপ। আদালত আশ্বাস দিয়েছে এর মাধ্যমে সত্যি অবশ্যই প্রকাশ্যে আসবে। আমরা বিষয়টি ফের সংসদে তুলব। চেষ্টা করব যাতে সংসদের অন্দরে এই নিয়ে আলোচনা হয়। এবং আমার বিশ্বাস বিজেপি এই ধরনের আলোচনা কখনোই পছন্দ করবে না।” তিনি আরো বলেন, “এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, বিজেপির মন্ত্রী সহ বহু মানুষের ওপর নজরদারি চালানো হয়েছে। যদি নির্বাচন কমিশন, সিইসি ও বিরোধী নেতাদের ফোন ট্যাপ করে সেই ডেটা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়ে থাকে তাহলে নিঃসন্দেহে তা গুরুতর অপরাধ মূলক কাজ।”

উল্লেখ্য, পেগাসাস সফটওয়্যার ব্যবহার করে ফোনে আঁড়িপাতার অভিযোগে বুধবার তদন্তের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পেগাসাসকাণ্ডের তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। বাংলায় বিধানসভা ভোটের পর এবং সংসদের বাদল অধিবেশনের আগে ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে ফোন হ্যাকিংয়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সংবাদমাধ্যম The Wire-এর তরফে বলা হয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে রাহুল গান্ধী, প্রশান্ত কিশোরের ফোনে আড়িপাতা হয়েছে। আড়িপাতা হয়েছে ৪০ জনের বেশি সাংবাদিকের ফোনে। এমনকী, সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান বিচারপতি, দেশের একাধিক নিরাপত্তা এজেন্সির বর্তমান এবং প্রাক্তন প্রধান, কয়েকজন শিল্পপতি ও সমাজকর্মীও সেই তালিকায় রয়েছেন। এরপরই তদন্তের আবেদন জানিয়ে, একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। আর সেখানেই কেন্দ্রের ভূমিকাকে ছত্রে ছত্রে সমালোচনা করে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শীর্ষ আদালত।

 

Previous articleআলাপন মামলায় হাইকোর্টে অস্বস্তিতে CAT, রায়দান মঙ্গলে
Next articleচোটের কারণে ছিটকে গেলেন লকি ফার্গুসন, ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে বড় ধাক্কা কিউয়িদের