আগরতলায় পুলিশি জুলুমের মধ্যেও তুমুল উন্মাদনার ছবি অভিষেকের সভায়

আগরতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পা রাখার আগেই ত্রিপুরার বিপ্লব দেব প্রশাসনকে ১০ গোল দিয়েছে তৃণমূল। শনিবার হাইকোর্টে আইনি লড়াইয়ের পর ত্রিপুরায় মুখ পুড়েছে বিজেপির। পূর্ব নির্ধারিত স্থানে এবং সময়ই আগরতলায় রবীন্দ্রভবন সংলগ্ন এলাকায় জনসভা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর অভিষেকের এই জনসভাকে কেন্দ্র করে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো।

এদিন সকাল থেকেই মানুষের মধ্যে প্রবল উৎসাহ লক্ষ্য করা গিয়েছে আগরতলা শহর জুড়ে। এদিন আগরতলা কার্যত তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে চলে যায়। দুপুর ১২টা নাগাদ বিমানবন্দর আসতেই অভিষেককে উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করে নেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ও আগরতলাবাসী।

অন্যদিকে, রবীন্দ্র ভবনের সামনেই অভিষেকের বক্তব্য শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন কর্ম-সমর্থকরা। আদালতের নির্দেশ মতো কোভিড বিধি কঠোর ভাবে মেনে এদিন সভা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে বিভিন্ন জায়গা থেকে যেসব তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক সভায় আসতে চেয়েছিলেন, তাঁরা দূর থেকেই সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক-সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য শুনেছেন। কোথাও গাছের তলায়, কোথাও কোন নীচে দাঁড়িয়ে দূর থেকেই নেতাদের বার্তা পৌঁছে গিয়েছে তাঁদের কাছে। বলা যায়, আগরতলা কার্যত এদিন ছিল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের দখলে।

তবে এদিনও অভিষেকের সভা যাতে সফল না হয় তার সমস্ত চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে ত্রিপুরা পুলিশ, এমনটাই অভিযোগ তৃণমূল নেতৃত্বের। তৃণমূলের দাবি, আদালতের নির্দেশ মেনে ৫০০টি আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল শ্রোতা-দর্শকদের জন্য। কিন্তু কোনও এক অজানা কারণে পুলিশ নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন ভর্তি করতেও বাধা দেয় বলেন অভিযোগ। যদিও শেষ পর্যন্ত মানুষের কাছে হার মানতে হয় ত্রিপুরা পুলিশ প্রশাসনকে। ভরা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন অভিষেক। আর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে আওয়াজ ওঠে পরিবর্তনের। স্লোগান ওঠে উঠে “জয় ত্রিপুরা”!

আরও পড়ুন- রাজ্যে ফের নৃশংসভাবে খুন করা হল তৃণমূল কর্মীকে, গ্রেফতার ৮

 

Previous articleরাজ্যে ফের নৃশংসভাবে খুন করা হল তৃণমূল কর্মীকে, গ্রেফতার ৮
Next articleটি-২০ বিশ্বকাপের মাঝেই সবধরনের ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেন আসগর আফগান