গড়িয়াহাট জোড়া খুন: বিয়ে করতে প্রেমিকার চাপ, টাকা জোগাড়ে অপরাধে সামিল অভিযুক্ত

“All’s fair in love and war”, অর্থাৎ “প্রেম ও যুদ্ধে সবই ন্যায্য”! প্রেমে পাগল, বিয়ের জন্য প্রেমিকার চাপ। সবমিলিয়ে টাকার দরকার। তাই খুন করতেও হাত কাঁপেনি। প্রেমিকাকে দ্রুত বিয়ের করার কথা জানিয়ে ছিল গড়িয়াহাট জোড়া খুন কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত শুভঙ্কর মণ্ডল। মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদারের সঙ্গী শুভঙ্কর মণ্ডল। বিয়ে করার আগে টাকা জোগাড় করতেই কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকী ও তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডলকে খুন করে লুঠপাটের ছকে সামিল মিল হয় শুভঙ্কর।

অন্যদিকে, পুলিশি জেরায় মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদারের দাবি, তাঁর মায়ের কথাতেই খুন করেছে সে। মা তার হাতে তুলে দেয় ধারালো অস্ত্র। তাই বয়ান মেলাতে তদন্তকারীরা মা মিঠু হালদার ও ছেলে ভিকিকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরাও করেন।

এদিকে, তদন্তে নেমে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে গিয়ে গোয়েন্দাদের সামনে ছবির মত উঠে এসেছে খুনের সময়কার চিত্র। কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িটির ক্রেতা সেজে ঢোকার পর শুভঙ্কর মণ্ডল ও সঞ্জয় মণ্ডল তিনতলায় যায়। ভিকি, বাপি ও জাহির দোতলায় কথা বলছিল সুবীরবাবুর সঙ্গে। শুভঙ্কর ও সঞ্জয় রবীনবাবুকে খুনের সঙ্গে সঙ্গে তার ইঙ্গিত দেয়। তখন সুবীর চাকীর বুকের উপর চেপে তাঁকে খুন করে ভিকি। সাহায্য করে বাপি ও জাহির। ততক্ষণে শুভঙ্কর ও সঞ্জয় বেসিনে হাত ধুয়ে উপর থেকে নেমে আসে দোতলায়। কর্পোরেট কর্তাকে খুন করতে তারাও সাহায্য করে ভিকিদের।

জেরার মুখে ভিকির দাবি, সুবীরবাবুর কাছে অনেক টাকা ও গয়না আছে মনে করেই মা মিঠু ও সে গত সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্বকর্মা পুজোর পরই ডাকাতির ছক কষে। যেহেতু ভিকিকে সুবীরবাবু ও রবীনবাবু দু’জনই চিনতেন, তাই ধরা পড়ার ভয়ে তাঁদের খুনের ছকই কষা হয়।

 

Previous article৩১ ঘণ্টা পার, নদিয়ার জালালখালিতে এখনও চলছে রেল অবরোধ
Next articleসাঁকরাইলে চিপস কারখানায় ভয়াবহ আগুন, দমকলের ১০টি ইঞ্জিন লড়ছে