হারের ভয়ে সুপ্রিম নির্দেশও মানছে না বিজেপি: ত্রিপুরায় লাগাতার হামলা প্রসঙ্গে সরব কুণাল

সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পর এখনো পর্যন্ত ত্রিপুরাতে ৯টি জায়গায় হামলার ঘটনা ঘটেছে

ত্রিপুরার মাটিতে বিরোধীদের উপর লাগাতার হামলা চালাচ্ছে শাসক দল। সম্প্রতি এই ঘটনায় ত্রিপুরার(Tripura) পুলিশ প্রশাসনকে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court)। যদিও এই ঘটনার পর ত্রিপুরাতে ৯ জায়গায় তৃণমূল(TMC) কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরই প্রতিবাদে শনিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির(BJP) বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। তিনি জানালেন, ত্রিপুরার মাটিতে তৃণমূল যতই শক্তিশালী হয়ে উঠছে হারের ভয় ততোই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। মহামান্য আদালতের নির্দেশ মানা হচ্ছে না।

এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পর এখনো পর্যন্ত ত্রিপুরাতে ৯টি জায়গায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। ৬ জায়গায় ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ৩ জায়গায় এফআইআর দায়ের করা হবে। ১১ নম্বর ওয়ার্ডের আমাদের কর্মী শেখর দেব বর্মনকে ওপর যে হামলা চালানো হয়েছে তাতে তার চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি। আদালতের নির্দেশ যে মানা হচ্ছে না তার সমস্ত তথ্য প্রমাণ নিয়ে আমরা এই ঘটনায় ফের আদালতে যাব।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “বিজেপি বুঝে গিয়েছে পুরসভার ভোট ও আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ তৃণমূলের উপর ভরসা রাখছে। এটা ওদের কাছে যত স্পষ্ট হচ্ছে ততই বেপরোয়াভাবে হামলা চালাচ্ছে। তবে ওরা যতই হামলা করুক বিজেপিকে যদি কেউ হারাতে পারে সেটা তৃণমূল। এমনকি বাম ও কংগ্রেস সমর্থকরাও আসন্ন নির্বাচনে তৃণমূলকে ভোট দেবে।”

পাশাপাশি ত্রিপুরায় বিরোধীদের ওপর লাগাতার হামলার ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ডিজিকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। এই ঘটনায় কুণাল ঘোষ বলেন, “সুদীপ রায় বর্মন যে চিঠি দিয়েছেন তা অত্যন্ত সময়োপযোগী। বিজেপির বিধায়ক হয়েও তার এই পদক্ষেপকে আমরা পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি।” এছাড়াও ভিন রাজ্যে তৃণমূলের সংগঠন বৃদ্ধি প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর বহিরাগত মন্তব্যকে একহাত নিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “বহিরাগত কথাটাকে ওরা অন্যভাবে দেখানোর চেষ্টা করছে। বিজেপিতে এখনো বর্ষপূর্তি হয়নি শুভেন্দুর। আগে নিজেদের বিষয়টা ও জানুক। ওদের নেতা-নেত্রীরা কোথাকার এবং কোথা থেকে ভোটে দাড়িয়ে ক্ষমতায় আসছে। গুজরাটের বাসিন্দারা উত্তর প্রদেশ থেকে জিতে প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। ফলের আগে নিজেদের ইতিহাসটা জানুক শুভেন্দু।”

আরও পড়ুন:Demanding Train stoppage : ট্রেনের স্টপেজের দাবিতে ধর্না, স্মারকপত্র প্রধানমন্ত্রী ও রেলমন্ত্রীকে

পাশাপাশি ভিন রাজ্যে সংগঠন বৃদ্ধি প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, “বাংলা হল ভিত্তি ভারত ভবিষ্যৎ। বাংলার মঞ্চ থেকে শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে অন্য রাজ্যগুলির পাশাপাশি দিল্লিতে তৃণমূলের পতাকা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সঠিক ও সময়োচিত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ আমাদের আমন্ত্রণ করছে তাই আমরা সেখানে সংগঠন বৃদ্ধি করছি।” এছাড়াও বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ‘বাংলায় অরাজকতা’ চলছে মন্তব্যের পাল্টা তোপ দেগে কুণাল ঘোষ বলেন, “অরাজকতা বিজেপিতে চলছে। একদিকে দিলীপ ঘোষ অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী আবার সুকান্ত মজুমদার, আবার এদের মাঝখান থেকে চলে আসছেন অতৃপ্ত আত্মা তথাগত রায়। এ বলছে আমায় দেখ ও বলছে আমায়।”

 

Previous articleপ্রয়াত ক্রীড়া সাংবাদিক পার্থ রুদ্র
Next articleAssam Rifles Convoy Attacked in Manipur: ফের সেনা কনভয়ে জঙ্গি হামলা, নিহত কম্যান্ডিং অফিসার সহ ৬