POCSO:যৌন নিগ্রহের অপরাধের ক্ষেত্রে ত্বকের স্পর্শ জরুরি নয়,ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

সরাসরি ত্বকের স্পর্শ না হলেও তা যৌন নিগ্রহের মতো অপরাধভুক্ত। বৃহস্পতিবার ‘শিশুদের যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ আইন’(পকসো) সংক্রান্ত এক মামলায় এই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court)। এ বিষয়ে বম্বে হাইকোর্টের রায়কে খারিজ করে বিচারপতি ইউ ইউ ললিত, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভট্ট এবং বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর বেঞ্চে রায়ের শুনানি দেন।বিচারপতি জানিয়েছেন, যৌন নিগ্রহের উদ্দেশ্য ছিল কিনা সেটা বিচার্য বিষয়। সেখানে ত্বকের স্পর্শ না হলে পকেসো(POCSO) আইন লাগু হবে না সেটা একেবারেই সঠিক সিদ্ধান্ত  নয়।

আরও পড়ুন:দীর্ঘদিনের খনি সমস্যা সমাধানে তৃণমূলেই আস্থা গোয়া ফাউন্ডেশনের

১২ বছর বা তার কম বয়সের শিশুদের পোশাকের ওপর দিয়ে কোনওরকম স্পর্শ বা হেনস্তা করা হলে তা যৌন নির্যাতন হিসেবে বিবেচিত হবে না, পকসো আইনের একটি মামলার শুনানিতে এমনই রায় দিয়েছিলেন বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের বিচারপতি পুষ্প গানেদিওয়ালা রায় । নজিরবিহীন সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের সেই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।

সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার বম্বে হাই কোর্টের ওই রায়কে ‘অযৌক্তিক’ বলেছে। তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছেন, পকসো আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে ‘ত্বক স্পর্শ করা অপরিহার্য’ এমন ‘সঙ্কীর্ণ পর্যবেক্ষণ’ শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ প্রতিরোধের পরিপন্থী। বৃহস্পতিবার মামলা চলাকালীন বিচারপতি বেলা ত্রিবেদি বলেন, ত্বকের স্পর্শ বা শারীরিক স্পর্শ না হলেও পকসো আইনের ধারায় লাগু করা যাবে না, তা একেবারেই সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। বিচারপতির বক্তব্য, কী উদ্দেশ্য নিয়ে স্পর্শ করা হচ্ছে সেটাই বিচার্য বিষয়। জামাকাপড়ের ওপর দিয়েও যদি অন্যায়ভাবে খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে শরীরে স্পর্শ করা হয় বা গোপনাঙ্গে হাত দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তাহলে অবশ্যই পকসো আইনের ধারায় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

Previous articleBar Association: হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনে প্যানেল প্রকাশ তৃণমূল লিগ্যাল সেলের
Next articleCooch Bihar Death :  কোচবিহারে একটি বালক -সহ পরিবারের তিনজনের রহস্যমৃত্যু