Kunal Ghosh: শুভেন্দুকে ‘নির্বোধ’ বলে কটাক্ষ কুণালের

তৃণমূল কংগ্রেসে যেই প্রার্থী হবেন এটা ঘটনা যে তিনি নিশ্চিত ভাবেই জয়ী হবেন

অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে যারা টিকিট পাচ্ছেন না তারা শেষ মুহূর্তে নির্দল হয়ে দাঁড়াচ্ছেন। বুধবার এ বিষয়ে মতামত জানাতে গিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, অনেকেরই আশা থাকে দলের প্রার্থী হয়ে দাঁড়ানোর। কিন্তু সবার আশা পূরণ করা হয়তো সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে আপনারা নজর রাখুন, এখনও সময় আছে। এত বড় দল এতগুলি আসনের প্রার্থী এবং দলের জয়টা তারা চাইছেন। এতটাই মানুষ তাদের চাইছেন যে তার অনেকেই জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে আমার মনে হয় আরও কিছুক্ষণ যদি বিষয়টা অপেক্ষা করা যায় তাহলে একটা নির্দিষ্ট কনক্লিউশন দেখা যেতে পারে এবং সেটা সবাই দেখতে পাবেন। তৃণমূল কংগ্রেসে যেই প্রার্থী হবেন এটা ঘটনা যে তিনি নিশ্চিত ভাবেই জয়ী হবেন। তৃণমূল কংগ্রেসে দল যাকে প্রতিনিধি ও প্রার্থী হিসেবে চিহ্নিত করে দেবেন মানুষ তাকেই ভোট দেবেন।

গতকালই বিজেপির একটি ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছিল এবং সেখানে দেখা গিয়েছিল রূপা গাঙ্গুলী বৈঠক থেকে চলে যেতে চেয়েছিলেন। কারণ , দলের সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন । বুধবার সকালে ফের বিজেপিতে টাকা নিয়ে টিকিট পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নমিনেশন জমা দেওয়ার শেষ মুহূর্তে ঠিক ভোটের আগে এই ধরণের অভিযোগ নিয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল তৃণমূল মুখপাত্রের কাছে। এ প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, এ কথা বারবার উঠছে কিছুদিন আগেও বিজেপি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাজ্যপাল সিনিয়র লিডার তথাগত রায় বলেছিলেন দলের কামিনী কাঞ্চন এর আমদানি হয়েছে। বিজেপি নেতাদের উচিত আগে তথাগত রায়, রূপা গাঙ্গুলী যেসব অভিযোগ তুলছেন তার জবাব দিন এবং এই যে টাকা নিয়ে টিকিট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, টাকা নিয়ে পদ পাইয়ে অভিযোগ উঠছে আগে তার জবাব দিন। বিজেপির কোনও ভিত্তি নেই, শুধু গোষ্ঠী কোন্দল। তাই মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।

তারা যদি এর জবাব না দেন তবে ধরে নিতে হবে যে তারা এই অভিযোগকে এতটাই মান্যতা দিচ্ছেন যে তারা মেনে নিচ্ছেন সব অভিযোগ সত্যি। ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি নেতা সজল ঘোষের একটি মন্তব্যের জবাবে কুণালের কটাক্ষ, ওদের পরিবার নানান দলের রাজনীতি করেছে। ওর ইচ্ছে হয়েছে ও এখন বিজেপিতে গিয়েছে। ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে ২১ তারিখ বিজয় মিছিল হবে নিশ্চয়ই, তবে সেটা তৃণমূল করবে।

মুম্বই সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠক, বিভিন্ন বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক এবং শিল্পপতিদের সঙ্গে মোলাকাত প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন , যদি রথ দেখা কলা বেচা দুটোই হয় ওদের কি ? উনি প্রথম থেকেই বলে আসছেন, প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সেটা বড় কথা নয়। বিজেপিকে উৎখাত করা হচ্ছে তার লক্ষ্য । যে জনবিরোধী নীতির জন্য দেশের ক্ষতি হচ্ছে, তা তিনি যে কোন উপায়ে আটকাতে চান। সেই জন্য একটা শক্তিশালী বিরোধী জোট তৈরির তিনি চেষ্টা করছেন এবং সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রহণযোগ্যতা সবাই জানেন।
দলনেত্রী চাইছেন একটি ধর্মনিরপেক্ষ জোট এবং তার সঙ্গে থাকবেন নাগরিক সমাজের বিশিষ্টরা। নাগরিক সমাজের বিশিষ্টজনদের সুচিন্তিত মতামত সেই জোটকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করবে। আর সেই লক্ষ্যে তিনি কাজ করছেন।

শুভেন্দু অধিকারীর টুইট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কুণালের কটাক্ষ, শুভেন্দু অধিকারী যখনই টুইট করেন তাই বিস্ফোরক ! সারাদিনে বিশেষত বিভিন্ন মিডিয়ায় যা দেখি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি যত টুইট করেন সবকটি যদি বিস্ফোরক হয় এবং একদিনে যদি সব ঘটে সেটা তো বিরাট ব্যাপার ! আসলে উনি তো লোডশেডিংয়ের নেতা। তৃণমূল কংগ্রেসে যখন ছিল তখন অন্যতম শীর্ষ নেতা ছিল এবং সেই সময় হয়েছে শুভেন্দুও ওয়ান অফ দা পার্ট। এটা কী ও বুঝতে পারছে না যে থুতু ওপর দিকে ছুঁড়লে নিজের গায়ে এসেই পড়ে। এটা ওই নির্বোধকে কে বোঝাবে?

শুভেন্দু অধিকারী গতকালই নন্দীগ্রামে আন্দোলনের যে ডাক দিয়েছেন সে প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্রের কটাক্ষ , একজন বিরোধী দলনেতা এখনও দলে একেবারে কোণঠাসা । পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে । তথাগত রায়, রূপা গাঙ্গুলীকে আগে সামলাক। বড় বড় কথা বলে রাজনীতি হয় না। ও আগে বলুক, ওর বাবা কোন দলে আছে।

Previous articleধাক্কা সামলে ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার, ৬১৯ পয়েন্ট বৃদ্ধি সেনসেক্সের
Next articleBJP PARTY OFFICE: কীসের গোপনীয়তা! বিজেপির সদর দফতরে সংবাদমাধ্যমের উপর নিষেধাজ্ঞা