World Inequality Report: মোদির ‘আচ্ছে দিন’ কোথায়? এখন ‘দরিদ্র, চরম অসাম্যে’র দেশ ভারত

দরিদ্র এবং চরম অসাম্যের দেশ ভারত। বিশ্ব অসাম্য রিপোর্ট (World Inequality Report)-এ চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। মোদির (PM Narendra Modi) ‘আচ্ছে দিন’ কোথায়? কয়েকদিন আগে দারিদ্র, অর্থনৈতিক অসাম্য, লিঙ্গবৈষম্য নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে প্যারিস স্কুল অফ ইকোনমিকস-এ অবস্থিত ‘ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি ল্যাব’।

বিশ্ব অসাম্য রিপোর্ট (World Inequality Report) বলছে, ভারতে যারা ধনী তারা অত্যন্ত ধনী। কিন্তু নীচের সারির অর্ধেক মানুষের হাতে দেশের সম্পদের কিছুই নেই। ২০২১-এ ভারতের মোট আয়ের পাঁচ ভাগের এক ভাগ গিয়েছে দেশের উপরের সারির এক শতাংশ মানুষের কাছে।  নীচের সারির ৫০ শতাংশ মানুষকে দেশের মোট আয়ের মাত্র ১৩ শতাংশ নিয়েই দিন পেট চালাতে হয়েছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের (India) মধ্যবিত্তরা আদতেই গরিব। যাঁদের গড় সম্পদ মাত্র ৭ লক্ষ ২৩ হাজার ৯৩০ টাকা যা দেশের মোট আয়ের ২৯.৫ শতাংশ মাত্র। সেই তুলনায় দেশের প্রথম সারির ১০ শতাংশ এবং শীর্ষের ১ শতাংশ ভারতের ৬৫ শতাংশ ও ৩৩ শতাংশ আয় করে।

আরও পড়ুন-UAE: কর্মদক্ষতা বাড়াতে সরকারি কর্মীদের সাপ্তাহিক কাজের সময় কমলো, ছুটি রবিবারও

২০২১ সালে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ভারতীয়ের গড় বার্ষিক মোট আয় ২ লক্ষ ৪ হাজার ২০০ টাকা। বার্ষিক আয়ে দেশের নীচের সারির ৫০ শতাংশ মানুষ গড়ে ৫৩ হাজার ৬১০ টাকা রোজগার করে। এবং শীর্ষের ১০ শতাংশ তার কুড়ি গুণ বেশি রোজগার করে। যা প্রায় ১১ লক্ষ টাকার বেশি গড়ে।

প্যারিস স্কুল অব ইকনমিকস (Paris School of Economics)—এ অবস্থিত ‘ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি ল্যাব’-এর এই রিপোর্ট তৈরিতে সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন ফ্রান্সের অর্থনীতিবিদ টমাস পিকেটি (Thomas Piketty)। রিপোর্টের মুখবন্ধে নোবেলজয়ী দুই অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhijit Vinayak Banerjee) এবং এস্থার ডুফলো (Esther Duflo) লিখেছেন, বিশ্বের যে সব দেশে অসাম্য চরমে, ভারত এখন তার মধ্যে পড়ছে।

‘ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি ল্যাব’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে লিঙ্গ বৈষম্যও চরমে। মোট আয়ে মহিলা শ্রমিক-কর্মীদের ভাগ মাত্র ১৮ শতাংশ। এই হার গোটা বিশ্বের মধ্যেই নিম্নতম। পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতেই মহিলাদের আয়ের ভাগ ১৫ শতাংশ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, চিন বাদ দিয়ে এশিয়ার দেশগুলিতে এর হার ২১ শতাংশ। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, করোনা অতিমারী ও কেন্দ্রের অর্থনৈতিক সংস্কার যেমন বেসরকারিকরণের জেরে আর্থিক বৈষম্য বাড়ছে। দ্রুত নীতি পালটে পদক্ষেপ না করলে ভবিষ্যতে সমাজে অর্থনৈতিক বৈষম্য চরম আকারে ধারণ করবে।

Previous articleKMC 81: এক ফোনেই মুশকিল আসান, পুরভোটে উন্নয়নই হাতিয়ার জুঁইয়ের
Next articleJalpaiguri: ভাল্লুকের খোঁজে জলপাইগুড়ি শহরে আনা হল ‘ঐরাবত’