বাপের ব্যাটা হলে পুরভোটে নিজের ওয়ার্ডে লড়ে দেখাও, কাঁথিতে শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ কুণালের

কাঁথিতে শুভেন্দুর বাড়ি শান্তিকুঞ্জ থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন কুণাল ঘোষ

“শুভেন্দু অধিকারী যদি বাপের ব্যাটা হও, তাহলে কাঁথি পুরভোটে নিজের ওয়ার্ডে লড়ে দেখাও”! কাঁথিতে শুভেন্দুর বাড়ি শান্তিকুঞ্জ থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে দাঁড়িয়ে এমনই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এদিন কাঁথি-সহ গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে “গদ্দার বিদায়” দিবসের বর্ষপূর্তি নামক অভিনব কর্মসূচি পালন করে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। মূলত যুবনেতা সুপ্রকাশ গিরি ও রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালন করে তৃণমূল। যেখানে মিছিল ও সভায় কয়েক হাজার মানুষের জমায়েতে জনপ্লাবন হয়।

“গদ্দার বিদায়” স্লোগান দিতে দিতে মেচেদা বাইপাস থেকে কাঁথি কলেজ মাঠ পর্যন্ত বিশাল মিছিল হয়। যেখানে পা মেলালেন কুণাল ঘোষ, অখিল গিরি, সুপ্রকাশ গিরি, সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি আনোয়ারুদ্দিন সহ নেতৃত্ব। জনসভায় ছিলেন বিধায়ক জ্যোতির্ময় কর, উত্তম বারিক, অর্ধেন্দু মাইতি সহ আরও অনেকে।

মিছিল শেষ হতেই মঞ্চে ওঠেন কুণাল ঘোষ। তাঁর ঝাঁঝালো বক্তব্যের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিল শুভেন্দুকে আক্রমণ। এক নজরে শুভেন্দুকে বেনজির আক্রমণ করে যা বললেন কুণাল—

২০০৯ সালে তৃণমূল লোকসভায় ভাল ফল করেছিল। সেবার শিশির অধিকারী ও শুভেন্দু অধিকারী দু’জনেই জিতেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী হয়েছিলেন। এর বাইরে ৬ জনকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত নেয় দল। যার মধ্যে ছিলেন শিশিরবাবু। সেটা জানতে পেরে শুভেন্দু অধিকারী বেজায় চটে যান। তাঁকেও মন্ত্রিত্ব দিতে হবে দাবি করে বসেন। বলেন, বাবা নয়, তিনি মন্ত্রী হবো। অথবা দুজনকেই করতে হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শিশির অধিকারী মন্ত্রী হন। আর শুভেন্দু শিশির অধিকারীর শপথ বয়কট করে দিল্লি থেকে ফিরে আসে। যে নিজের বাবাকে হিংসা করে, সে আবার মানুষের কী উপকার করবে।

CBI-ED থেকে নিজেকে বাঁচাতে বকলেস পরে বিজেপি দরজায় ঘেউ ঘেউ করছে শুভেন্দু।

কলকাতা পুরভোট নিয়ে শুভেন্দু হুমকি দিয়েছিল। কিছুই করতে পারেনি। তাই শুভেন্দুর আর জাঙ্গিয়ার বুক পকেট সমার্থক।

তৃণমূল বলেনি। বিজেপি নেতা তথাগত রায় বলেছেন কামিনী-কাঞ্চন। তো শুভেন্দু কামিনী নাকি কাঞ্চন? ওনার কামিনী জানা নেই, কিন্তু কাঞ্চন হতে দেখা গিয়েছে। শুভেন্দু চোর চোর চোর।

আদি বিজেপিদের বলছি, তৃণমূল ক্ষমতায় এলে আপনারা রাজনীতি করতে পারবেন। শুভেন্দুর মতো দু’নম্বরি বিজেপি থাকলে রাজনীতি করতে পারবেন না। বিজেপিও বাঁচবে না।

সুকান্ত আর শুভেন্দু কাঁদছে। আর দিলীপ ঘোষ হাসছে। দিলীপ ঘোষ চান্স পেলে এই বিজেপিকে তিনি নিজেই ভোট দেবেন না। এদিকে শুভেন্দু আসবে জেনে সিঙ্গুরে লকেট নেই।

তৃণমূল যদি তোলামূল হয়ে থাকে, তার প্রথম প্রবক্তা শুভেন্দু। ওর মুখে এসব কথা মানায় না। ও বড় চোর।

বাবা, ছেলেরা মিলে সব পদ দখল করে অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বানিয়েছিল। কিন্তু আর হবে না। কাঁথিতে পুরভোটে খেলা হবে তো? ২১-এ ২১ চাই। শুভেন্দু অধিকারী বাপের ব্যাটা হলে কাঁথি পুরভোটে নিজের ওয়ার্ডে লড়ে দেখাও। নিজের বুথে, নিজের পার্টে জিতে দেখাও।

রাজনৈতিকভাবে শুভেন্দু বেজন্মা। যাও গিয়ে ১০০টি মানহানি মামলা করো। আমি কোর্টে দাঁড়িয়ে বলবো, “শুভেন্দু রাজনৈতিক বেজন্মা বেজন্মা বেজন্মা।” ছোট থেকে বড় করা মায়ের পিঠে কেউ ছুরি মারলে আপনি যা যা করতেন, পুরভোটে অধিকারীদের সঙ্গে ঠিক তাই তাই করবেন।

Previous articleআধার-ভোটার সংযুক্তিকরণ সংক্রান্ত বিল পাস লোকসভায়, তীব্র বিক্ষোভ বিরোধীদের
Next articleওমিক্রন আতঙ্কে বড় ধাক্কা শেয়ারবাজারে, ১১৮৯ পয়েন্ট নামল সেনসেক্স