দেশের কতগুলি বেসরকারি সংস্থাকে ব্যাংকিং লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে? সৌগতর প্রশ্নে জানাল কেন্দ্র

দেশের কতগুলি বেসরকারি সংস্থাকে ব্যাংকিং লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে? যে সমস্ত বেসরকারি সংস্থাকে ব্যাংকিং লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে তাদের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণের জন্য সরকারের কি কোন পরিকাঠামো আছে? আর কোনও বেসরকারি সংস্থা কি ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে? সোমবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের কাছে এই প্রশ্নগুলির উত্তর জানতে চান তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়।

তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদদের ওই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভগৎ কারাড জানিয়েছেন, ব্যাংকিং রেগুলেশন অ্যাক্ট ১৮৪৯ অনুযায়ী সব ধরনের রীতিনীতি মেনে বেসরকারি সংস্থাকে ব্যাংকিং লাইসেন্সের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে আরবিআই। ওই আইনে কোন বেসরকারি সংস্থাকে ব্যাংকিং লাইক নিতে গেলে একাধিক নিয়ম কানুন মানতে হবে। কিন্তু সেই সমস্ত নিয়মকানুন মেনে এখনও পর্যন্ত কোন বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে আরবিআই ব্যাংকিং লাইসেন্সের আবেদন পায়নি। তবে আরবিআই ইতিমধ্যে কয়েকটি বেসরকারি সংস্থাকে পেমেন্ট ব্যাংক খোলার অনুমতি দিয়েছে। এই সমস্ত সংস্থার মধ্যে আছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ভারতী এয়ারটেল লিমিটেড, জিও পেমেন্ট ব্যাংকস লিমিটেড এবং এয়ারটেল পেমেন্ট ব্যাংকস লিমিটেড।

অর্থ প্রতিমন্ত্র আরও জানিয়েছেন, রিজার্ভ ব্যাংকের কাছে এ পর্যন্ত ব্যাংকিং লাইসেন্সের আবেদন জানিয়েছে ১০টি সংস্থা। যার মধ্যে ৬টি সংস্থা হল স্মল ফিনান্স ব্যাংক এবং চারটি হল ইউনিভার্সাল ব্যাংক। আবেদনকারী চারটি ইউনিভার্সাল ব্যাংকের মধ্যে আছে ইউএই এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড, দ্য রিপাট্রিটেস কর্পোরেট ফিনান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড, চৈতন্য ইন্ডিয়া ফিন ক্রেডিট প্রাইভেট লিমিটেড এবং শ্রী পঙ্কজ ভৈস অ্যান্ড আদার্স। এই চারটি সংস্থা ২০১৬ সালের অগাস্ট থেকে ২০২১ সালের আগস্টের মধ্যে আবেদন করেছে। একইভাবে যে ৬টি আর্থিক ক্ষুদ্র আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে তাদের মধ্যে আছে ভিসফ্ট টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেড, ক্লায়েন্ট সিটি সার্ভিস কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেড, শ্রী অখিল কুমার গুপ্তা, দাড়া ক্ষেত্রীয় গ্রামীণ ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড, কসমি ফিনান্সিয়াল হোল্ডিংস প্রাইভেট লিমিটেড এবং ট্যালি সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড। এই ছয় সংস্থা ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩১ অগাস্টের মধ্যে আবেদন করেছে।

আরও পড়ুন- ‘স্কিল ইন্ডিয়া প্রোগ্রাম’-এর কোনও হাল-হকিকত জানে না কেন্দ্র, কল্যাণের প্রশ্নে স্বীকার করলেন মন্ত্রী

 

Previous article‘স্কিল ইন্ডিয়া প্রোগ্রাম’-এর কোনও হাল-হকিকত জানে না কেন্দ্র, কল্যাণের প্রশ্নে স্বীকার করলেন মন্ত্রী
Next articleইউনেস্কোর  স্বীকৃতি পেয়েছে  দুর্গাপুজো, উদযাপনে আয়োজন পদযাত্রার