Bjp State Committee: বিজেপির রাজ্য কমিটিতে রদবদল: সরলেন সৌমিত্র-অগ্নিমিত্রা, কোনও কমিটিতে নেই সায়ন্তন-প্রতাপ

বিজেপির নয়া রাজ্য কমিটি ঘোষণা। সরিয়ে দেওয়া হল সৌমিত্র খাঁ এবং অগ্নিমিত্রা পালকে। কমিটি থেকে সরিয়ে জয়প্রকাশ মজুমদারকে করা হল শুধুমাত্র মুখপাত্র

প্রথমে বিধানসভা তারপর কলকাতা পুরসভা ভরাডুবির পর এবার রাজ্য কমিটি খোলনলচে বদলানোর রাস্তায় হাঁটল বিজেপি (Bjp)। নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যুব মোর্চার সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল সৌমিত্র খাঁকে (Soumitra Khan)। মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর পদ থেকে অগ্নিমিত্রা পালকে (Agnimitra Paul) সরানো হল। দলের কোনও কমিটিতেই রাখা হল না সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu), প্রতাপ বন্দোপাধ্যায়কে।

বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতির পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে সৌমিত্র খাঁকে। তাঁর জায়গায় দায়িত্বে আনা হয়েছে ইন্দ্রনীল খাঁকে। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন সৌমিত্র খাঁ। কখনও নেতৃত্বের বিরুদ্ধে, কখনও দলের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। কখনও আবার বিতর্কিত মন্তব্য করে দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন তিনি। এবার তাঁকে পদ থেকে সরালো গেরুয়া শিবির।

বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর পদ হারিয়েছেন অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁর জায়গায় এসেছেন তনুজা চক্রবর্তী।

বদল হয়েছে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পদেও। তাঁকে সহ-সভাপতি থেকে করা হয়েছে সাধারণ সম্পাদক। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন অগ্নিমিত্রা পালও। কিন্তু সহ-সভাপতি বা মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর মতো দায়িত্ব থেকে সরিয়ে এঁদের শুধুমাত্র সাধারণ সম্পাদক করে রাখা হয়েছে।

তবে কোথাও কোনও দায়িত্বে রাখা হয়নি সায়ন্তন বসুকে। বিজেপি সূত্রঃ খবর, দুটো লবির অপছন্দের তালিকায় ছিলেন সায়ন্তন। একইসঙ্গে নয়া কমিটিতে কোথাও নাম নেই প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ইদানীং অনেকক্ষেত্রেই দলের হয়ে কথা বলছিলেন তিনি। তাহলে তাঁর উপর কোপ কেন? উঠছে প্রশ্ন।

কিছুদিন আগেই বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, নতুন রাজ্য সভাপতি হয়েছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। কিন্তু এখনও দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) লোকেরা রয়েছে। তাঁরা ‘বদমাইশি’ করছে বলেও ভোটের দিন মন্তব্য করেছিলেন রূপা। দলের মধ্যে থেকেই কামিনী-কাঞ্চনের বিনিময়ে নির্বাচনের প্রার্থী করার অভিযোগ উঠেছে। এরপরে ঘোষিত হল বিজেপির নয়া রাজ্য কমিটি। সূত্রের খবর, সেখানে স্থান পেয়েছেন সুকান্ত ঘনিষ্ঠরা। এমনকী, বিজেপি সূত্রের খবর, এখানে শুভেন্দু অধিকারীর প্রভাবও কাজ করেছে। বাংলায় পরপর নির্বাচনে ভরাডুবি পরে পর্যালোচনায় বসে বিজেপি। আর সেখানেই কাটাছেঁড়ায় উঠে এসেছে বিভিন্ন কারণ। নতুন লবির বিষ নজরে পড়েছিলেন অনেকেই। শীর্ষ নেতৃত্বের গাফিলতি ঢাকতেই কয়েকজনকে বলি করা হল কি না তা নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে।

আরও পড়ুন- DURGAPUJO: দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা ইউনেস্কোর, স্বাগত জানিয়ে পথে নামল কলকাতা

 

 

 

 

Previous articleDURGAPUJO: দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা ইউনেস্কোর, স্বাগত জানিয়ে পথে নামল কলকাতা
Next articleKMC Election2021: পুরভোটে লম্বা সময় ব্যাট হাতে ক্রিজে টিকে থাকার রেকর্ড গড়লেন তিন মহিলা প্রার্থী