মিশন ২০২৩: ত্রিপুরায় দফায় দফায় কর্মসূচি অভিষেকের, কর্মীদের দিলেন লড়াইয়ের মন্ত্র

পাখির চোখ ত্রিপুরা(Tripura) বিধানসভা নির্বাচন(Assembly election)। আর সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। ২৩-এর নির্বাচনকে নজরে রেখে রবিবার দু’দিনের সফরে ত্রিপুরায় পা রেখেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। এদিন আগরতলা বিমানবন্দরে পা রাখার পর একের পর এক কর্মসূচি সারলেন অভিষেক। শুরুতেই এদিন খয়েরপুরে চতুর্দশ দেবতার মন্দিরে পুজো দেন অভিষেক। পুজো সেরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় বিজেপিকে(BJP) আক্রমণ শানান তিনি। পাশাপাশি এটাও জানিয়ে দেন যুদ্ধক্ষেত্র থেকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বে না তৃণমূল(TMC)।

পুজো সেরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কড়া ভাষায় বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়ে অভিষেক বলেন, ‘বিপ্লব দেব রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। তার নেতৃত্বে ত্রিপুরা হার্মাদদের উল্লাসমঞ্চে পরিণত হয়েছে। মানুষের উপর অত্যাচার ও দুয়ারে গুন্ডা মডেল চলছে এখানে। তবে এটা বেশিদিন চলবে না এখানে ‘দুয়ারে সরকার’ হবে।’ শুধু তাই নয়, উন্নয়নকে হাতিয়ার করে পশ্চিমবঙ্গ মডেল তুলে ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। অভিষেক বলেন, “ত্রিপুরাতে কোনরকম উন্নয়ন হয়নি। এখানকার রাস্তাঘাট মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। কটা বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে? কটা মেডিকেল কলেজ হচ্ছে? লড়াই করতে হলে উন্নয়নের মডেলে লড়াই হোক। বিরোধীদের ওপর গুন্ডা দিয়ে হামলা চালিয়ে নয়। বিজেপি সরকারের আমলে কি উন্নয়ন হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর রিপোর্ট কার্ড আনুন, পশ্চিমবঙ্গে কী উন্নয়ন হয়েছে আমরা রিপোর্ট কার্ড আনব। দেখি কারা কত কাজ করেছে।”

আরও পড়ুন:তৃণমূল বিশুদ্ধ লোহা, যত তাতাবে তত শক্তিশালী হবে: আক্রান্ত কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাত করে বার্তা অভিষেক

এরপর দুপুর ১ টা ৪৫ নাগাদ আদিবাসী সম্প্রদায়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে বড়মুড়া ইকোলজিক্যাল পার্কে পৌঁছনোর কথা ছিল অভিষেকের। তবে এই অনুষ্ঠানের জন্য আগাম আবেদন করা থাকলেও শেষ মুহূর্তে অনুষ্ঠান বাতিল করে দেয় প্রশাসন। ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের এহেন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয় তৃণমূল। এই অনুষ্ঠান বাতিল হওয়ার পর ২ টো নাগাদ তেলিয়ামুড়ায় আক্রান্ত তৃণমূলকর্মী গৌরীশংকর রায়ের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন অভিষেক। বেশ কিছুটা সময় তিনি কথা বলেন ওই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। সেখান থেকে তেলিয়ামুড়াতেই তৃণমূলের একটি দলীয় অফিস উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ আগরতলার বড়দোয়ালীতে আক্রান্ত দলীয়কর্মী সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে আক্রান্ত কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও কথা বলেন অভিষেক। দলীয় কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করে তিনি বলেন, আপনারা যেভাবে লড়ছেন দল আপনাদের জন্য গর্বিত। আপনারা লড়াই করবেন আমিও এখানে আছি আপনাদের সঙ্গে। সেখান থেকে সন্ধ্যা ৭ নাগাদ স্টিয়ারিং কমিটি এবং অন্যান্য শীর্ষ নের্তৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন অভিষেক। এই বৈঠকে তিনি নির্দেশ দেন ২৩-এর নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এখন থেকেই জেলায় জেলায় সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর।

Previous articleCovid Restriction:সংক্রমণের রাশ টানতে একনজরে দেখে নিন, কী কী পরিষেবা কতটা বন্ধ
Next articleSupreme Court: ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধির জের, এবার সুপ্রিম কোর্টেও ভার্চুয়াল শুনানি