Sunday, August 24, 2025

দলের কেউ খোঁজ নেয়নি, মুখ্যমন্ত্রীর ফল-মিষ্টি পেয়ে আপ্লুত বিজেপি নেতা

Date:

Share post:

বড় পদাধিকারী না হলেও তিনি বিজেপির অত্যন্ত পরিচিত মুখ। ভিন রাজ্যে দলের জয়ে কলকাতার মানুষকে কমলা রসগোল্লা খাওয়ানো হোক বা অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিনে লাড্ডু বিতরণ – তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি থাকেই।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে আপাতত ঘরবন্দি বিজেপি নেতা নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়। এখনও নিজের দলের কোনও নেতানেত্রী তাঁর খোঁজখবর নেয়নি। অথচ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া ফল এবং শুভেচ্ছাবার্তা নিয়ে তাঁর বাড়িতে হাজির কাউন্সিলরের লোকজন। এতে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত নারায়ণ। মুখ্যমন্ত্রীর ফলের ডালি ফেসবুকে পোস্ট করে তৃণমূলনেত্রীকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষের এই অনুগামী।

ফেসবুকে তিনি লিখেছেন , আমাকে এবং আমার পরিবারকে এই উপহার পাঠানোর জন্য দিদি ও দাদা, দু’জনকেই অসংখ্য ধন্যবাদ। নিজের এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর বিজয় উপাধ্যায়কেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন- Novak Djokovic: বিরাট স্বস্তি জোকোভিচের, অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে বাধা নেই জোকারের

নারায়ণবাবু বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর উপহার পেয়ে আমি বিস্মিত এবং অবাক। এই বিপদের দিনে উনি যে আমাদের মতো লোকের কথা মনে রেখেছেন, এটা অভাবনীয় ব্যাপার। প্রকৃত মানুষের কাজ করছেন। বলতে খারাপ লাগছে, আমার দলের কেউ খোঁজ নেয়নি।

৩১ বছর ধরে আমি বিজেপি করেছি। অটলজি আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনতেন। প্রত্যেক দিওয়ালিতে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠাতেন। মায়ের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করে দিয়েছিলেন। কিন্তু বিপদের দিনে আমাকে কেউ মনে রাখেনি।
করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে বাড়িতে শুকনো খাবার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নবান্ন। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সমস্ত জেলা শাসকদের নির্দেশ দেন মাথাপিছু তিন কেজি করে চাল, দেড় কেজি ডাল, এক কেজি মুড়ি, পাঁচ প্যাকেট বিস্কুট দিয়ে প্যাকেট তৈরি করতে। এদিকে কলকাতাতেও যারা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের বাড়িতে ফলের ঝুড়ি পাঠাচ্ছে রাজ্য সরকার। এদিন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতেও ফল ও শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

spot_img

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...