প্রয়াত নাট্যব্যক্তিত্ব শাঁওলি মিত্রর ইচ্ছাপত্র কে মর্যাদা দিলেন তাঁর প্রিয়জনেরা

বাংলা নাট্যজগতে নক্ষত্রপতন। প্রয়াত নাট্যব্যক্তিত্ব শাঁওলি মিত্র। বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। রবিবার দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। রাতে সিরিটি শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

শম্ভু মিত্র ও তৃপ্তি মিত্রের কন্যার
শেষকৃত্যের পরই তাঁর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে। তাঁর বাবা শম্ভু মিত্রের ক্ষেত্রেও তেমনটা হয়েছিল। অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, শাঁওলি মিত্র একটি ইচ্ছাপত্র তৈরি করেছিলেন। সেখানেই অভিনেত্রী জানান, তাঁর মৃত্যুর খবর শেষকৃত্যের পর যেন সর্বসমক্ষে আনা হয়। সেই ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়েছেন তাঁর প্রিয়জনেরা।

বাংলার রঙ্গমঞ্চ বছরের পর বছর মাতিয়ে রেখেছিলেন শাঁওলি মিত্র। পঞ্চম বৈদিকের একের পর এক নাটকে মঞ্চে ঝড় তুলেছেন তিনি। যুক্তি তক্ক আর গপ্পোয় বঙ্গবালার চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। ২০০৩ সালে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান, ২০০৯ সালে পদ্মশ্রী পান তিনি।

সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কৃষকদের সমর্থন করেছিলেন শাঁওলি মিত্র। বিরোধিতা করেছিলেন বাম সরকারের। এর পর বাংলা অকাদেমির প্রধান হন তিনি। ২০১৮ সালে হঠাৎ সেই পদে ইস্তফা দেন। শরীর ক্রমশ অসুস্থ হতে থাকায় ২০২০ সালে একটি ইচ্ছাপত্র লেখেন শাঁওলি মিত্র। তাতে তিনি তাঁর অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করার ভার দিয়ে যান অর্পিতা ঘোষের ওপর। সঙ্গে জানিয়ে যান, মৃত্যুর পর যেন মৃতদেহ কাউকে দেখানো না নয়। মৃতদেহের ওপর যেন ফুল না দেয় কেউ। এমনকী হাসপাতালে চিকিৎসা করাতেও অস্বীকার করেন তিনি।