ক্রমশ বাড়ছে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা। এবার করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে চিকিত্সার নির্দেশিকায় (New Covid Treatment Guidelines) কিছু পরিবর্তন করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। করোনায় মৃদু, মাঝারি ও গুরুতর উপসর্গযুক্তদের চিকিৎসার জন্য নতুন নির্দেশিকা (New Covid Treatment Guidelines) জারি করল এইমস, আইসিএমআর। আর ওই নির্দেশিকায় স্টেরয়েড যথাসম্ভব ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে…

* করোনা সংক্রমিত হওয়ার ২ থেকে ৩ সপ্তাহ পরও যদি কাশি থাকে, তাহলে আক্রান্তকে টিউবারকিউলোসিস পরীক্ষা করাতে হয়। হাইপারটেনশন, হৃদরোগ জনিত সমস্যা, ডায়াবেটিস, এইচআইভি, টিউবারকিউলোসিস, ফুসফুস- লিভার বা কিডনির কোনও সমস্যা, অতিরিক্ত মেদ থাকলে করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি থাকে।

* নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, কোভিড আক্রান্তের চিকিৎসায় প্রয়োজন ছাড়া স্টেরয়েড ব্যবহার করা হলে বিপদ বাড়তে পারে। যদি সংক্রমণের শুরুতেই বেশি ডোজের স্টেরয়েড দেওয়া হয় বা বেশি দিন ধরে স্টেরয়েড দেওয়া হয়, তাহলে মিউকরমাইকোসিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।
মাঝারি বা তীব্র উপসর্গ…

* মাঝারি বা তীব্র উপসর্গ থাকলে একাধিক পরীক্ষা করানোর কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। আগেই যে টেস্টগুলির কথা বলা হয়েছিল সেগুলি হল, সিআরপি ও ডি জাইমার, সিবিসি বা কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট, কিডনি পরীক্ষা, লিভার পরীক্ষা। এবার তাঁর সঙ্গে যোগ হল ব্লাড সুগার টেস্ট।

আরও পড়ুন-Andhra Pradesh পশুবলি দিতে গিয়ে যুবকের গলায় কোপ, রক্তাক্ত হলো মন্দির নরহত্যায়!

গুরুতর অসুস্থদের …

* যে সব রোগীর রেসপিরেটরি রেট ৩০ এর কম, রয়েছে শ্বাসকষ্ট, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯০ শতাংশের কম তারাই গুরুতর আক্রান্ত। এদের আইসিইউ-তে থাকতে হবে। এদের জন্য রেসপিরেটরি সাপোর্টে রাখাতে হবে। অক্সিজেনের বেশি প্রয়োজন হলে এইচএফএনসি (HFNC) ব্যবহার করতে হবে। এইসব রোগীর ক্ষেত্রে অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি থেরাপি (anti-inflammatory therapy), Remdesivir, Tocilizumab ব্যবহার করা যাবে। তবে কখন দিতে হবে তা চিকিরসকরাই ঠিক করবেন। কোনও ভাবেই রোগী নিজের ইচ্ছেমতো ওষুধ খেতে পারবেন না।

যাঁদের মৃদু উপসর্গ রয়েছে তাঁদের কী কী করতে হবে?

* বাড়িতে নিভৃতবাস
* শারীরিক দূরত্ব মানতে হবে।
* বাড়িতেও মাস্কের ব্যবহার
* বারবার জ্বর ও অক্সিজেন স্যাচুরেশন মাপতে হবে

এছারা অক্সিজেন স্য়াচুরেশন ৯৩ শতাংশের নীচে, বেশি জ্বর, ৫ দিনের বেশি সর্দি রয়েছে তাদের ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।