India Vs SA: ফের হার, ভারতকে হারিয়ে একদিনের সিরিজ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা

ভারত ২৮৭/৬ (৫০ ওভার),
দক্ষিণ আফ্রিকা ২৮৮/৩ (৪৮.১ ওভার)

ফাফ ডুপ্লেসি, হাসিম আমলা, ডেল স্টেইন, মর্নি মর্কেলদের পাশে এই জানেমন মালান, রসি ভ্যানডার দুসেন, সিসান্দা মাগালাদের তেমন নম্বর নেই। কিন্তু নিন্দুকের মুখে ছাই দিয়ে এঁরাই বাজিমাত করলেন একদিনের সিরিজে। কেপটাউনে কাল শেষ ম্যাচ। যে ম্যাচের এখন আর কোনও গুরুত্ব নেই। এক ম্যাচ বাকি রেখেই শুক্রবার সিরিজ জিতে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ম্যাচে তারা জিতল ৭ উইকেটে।

তিন বছর আগে অনেক শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫-১-এ হারিয়ে গিয়েছিল বিরাট কোহলির ভারত। কিন্তু আগের দিনের মতো এই ম্যাচেও যেন অর্ধেক খেলা হতে না হতেই কাঁধ ঝুলে গেল রাহুলের দলের। কিং কোহলি বাউন্ডারির ধারে। কাছাকাছি এমন কেউ নেই যিনি এই দিশাহারা পরিস্থিতিতে দলকে টেনে তুলতে পারেন! গাভাসকর আগের দিন বলেছিলেন, বুদ্ধি হারিয়ে ফেলেছিল রাহুল। স্টপ গ্যাপ অধিনায়ককে এই ম্যাচেও অন্যরকম কিছু লাগেনি। ডি’কক (৭৮) আর মালাম (৯১) প্রথম উইকেটে ১৪২ রান তুলে ফেলার পর মনে হয়নি বোল্যান্ড পার্কে আর কোনও দল জিততে পারে। ওঁরা তখন ভারতের ২৮৭ রানকে তাড়া করছেন। তবে কঠিন কাজটা অতি সহজে করে ফেললেন মালান আর ডি’কক। বাভূমাকে (৩৫) ফিরিয়ে চাহাল অক্সিজেন জোগালেও সেটা স্থায়ী হয়নি। অনায়াসে বাকি কাজ করে গেলেন মার্করাম ও দুসেন। দু’জনেই নট আউট ৩৭ রানে। ২৮৮/৩ করে এই মাঠে সবথেকে বড় রান চেজ করল দক্ষিণ আফ্রিকা।
৬৪ রানে দুই উইকেট চলে যাওয়ার পর ভারত কিন্তু চাপে পড়ে গিয়েছিল। এক রানের মধ্যে শিখর ধাওয়ান (২৯) আর বিরাট কোহলির (০) মতো ব্যাটসম্যান ফিরে গেলে চাপ হওয়ারই কথা। তবে এখন থেকে রাহুল আর পন্থ মিলে ভারতকে লড়াইয়ের জায়গায় ফেরালেন। এঁরা দু’জনে ১১৫ রান যোগ করে পরিস্থিতি সামলে নিয়েছিলেন।

কিন্তু পরিস্থিতি যখন তাঁদের নিয়ন্ত্রণে, তখন শিখরের ওই মিড উইকেট দিয়ে ‘ওয়াইল্ড সুইং’ করার দরকার ছিল না। বল সোজা চলে গেল ডিপে দাঁড়ানো মাগালার হাতে। কিন্তু তার থেকেও বড় শক দিয়ে গেলেন বিরাট। কেশব মহারাজকে কভারে ‘ইনসাইড আউট’ খেলতে গিয়েছিলেন অভ্যাস মতো। বুদ্ধিমান লেগস্পিনার বলটা টেনে দেন। কিং কোহলি (০) ততক্ষণে শট খেলে ফেলেছেন। ব্যাট আগে চলে গেল। শর্ট এক্সট্রা কভারে দাঁড়ানো বাভূমা আরামসে সেই ক্যাচ নিয়ে নেন।

রাহুল টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন স্লো উইকেটের কথা ভেবে। কিন্তু রাহুল আর পন্থের জুটিটা যখন ভারতকে তিনশো পারের স্বপ্ন দেখাচ্ছে, তখনই দু’জনে পরপর ফিরে গেলেন। ১৭৯-তে রাহুল ফিরলেন ৫৫ রান করে। তারপর ১৮৩ রানে পন্থ। তিনি করে গেলেন ৭১ বলে ৮৫ রান। কেপটাউনে শেষ টেস্টের মতোই যথেষ্ট সাবলীল দেখাল দিল্লির তরুণকে। কিন্তু যখন মনে হচ্ছিল তাঁর কাধে চেপে ভারত তিনশো পার করবে, তখনই শামসিকে উইকেট ছুড়ে দিয়ে চলে গেলেন।

এরপরও অবশ্য ছয় উইকেটে ২৮৭ রান করতে পারল ভারত। সেটা শার্দূল ঠাকুর (৪০ নট আউট) ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের (২৫ নট আউট) জন্য। দু’জনের অসমাপ্ত জুটিতে যোগ হয়েছে ৪৮ রান। শার্দূল ফের একটা কার্যকরী ইনিংস খেলে গেলেন। তবে আগের দিনের মতোই কাজ এল না।

আরও পড়ুন- Corona Update: স্বস্তি দিয়ে রাজ্যে কিছুটা কমল দৈনিক করোনা সংক্রমণ

Previous articleSchool Reopen: কবে খুলবে স্কুল? মুখ্যসচিবের কাছে প্রস্তাব পাঠাল স্কুল শিক্ষা দফতর
Next articleBreakfast news: ব্রেকফাস্ট নিউজ