মেয়ে সর্বক্ষণ মোবাইলে ব্যস্ত! শত বারণ সত্ত্বেও কাজ হয়নি। তাই রাগের বশে দিনের পর দিন ১৫ বছরের নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করতেন বাবা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বিশাখাপত্তনমে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাবালিকার প্রতি বাবার এই পাশবিক অত্যাচারের ঘটনায় রীতিমত হতবাক তাঁর সকলেই।
আরও পড়ুনঃপেটের দায়ে কন্যা সন্তান বিক্রি করছেন আফগানরা!
পুলিশ সূত্রের খবর, ১৫ বছর বয়সি ওই নাবালিকা দিনের বেশিক্ষণ সময়ই তাঁর স্মার্টফোনে কাটাতো। বাবা একাধিকবার বারণ করা সত্ত্বেও সে বাবার কথায় কর্ণপাত করেনি। অভিযোগ, এরপর থেকেই রাগের বশে নাবালিকাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে তার বাবা। ভয়ে গুমড়ে ছিল নাবালিকাও। দিনের পর দিন এই ঘটনা চলতে থাকে। সম্প্রতি স্কুলের শিক্ষকের কাছে এই কথা বলে ওই নাবালিকা। যা শুনে রীতিমত চমকে ওঠে শিক্ষক। সঙ্গে সঙ্গে তার বাবাকে স্কুলে ডেকে পাঠানো হয়। ৪২ বছরের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ দায়ের হয় থানায়।
শিক্ষকের দাবি,সব অভিযোগ স্বীকার করে ক্ষমা চান নাবালিকার বাবা। গত শনিবার ওই নাবালিকাকে নিয়ে পুলিশের কাছে যান শিক্ষক। সেখানে নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী তার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। এরপরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
এদিকে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে অভিযুক্তর অন্য আরেক কীর্তির কথা। জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার বাবার গত বছর দুই আগে দুটো কিডনি বিকল হয়ে পড়ে। এরপর তাঁর স্ত্রী তাঁকে কিডনি দেন। কিন্তু কিছুদিন পর তাঁর স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। এরপর থেকে বাড়িতে কেবল মেয়ে ও বাবাই থাকতো। ৪২ বছরের ওই ব্যক্তি সেই সুযোগে মেয়ের উপরই যৌন নির্যাতন চালাত।
