UK: বরিস জনসনের (Boris Johnson)উত্তরসূরী কি তবে লিজ ট্রাস (Liz Truss)!

ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে কি এবার বদলের ইঙ্গিত? কে হবেন বরিস জনসনের উত্তরসূরী?

সময় এসেছে বদলের। ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটের (Downing Street) নতুন মুখ নিয়ে চলছে জল্পনা। রাজনতিক বিশ্লেষকদের মতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী (PM)বরিস জনসনের(Boris Johnson) পতদ্যাগের সময় এসে গেছে। পাশাপাশি নতুন প্রধানমন্ত্রিত্বের (PM) দৌড়ে লিজ ট্রাস(Liz Truss) স্পষ্টভাবে এগিয়ে রয়েছেন বলেই বিশেষজ্ঞদের অভিমত।

আরো পড়ুন: দিনভর গুগল ডুডলে থাকবে সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপনের ছবি

প্রসঙ্গত বছর দুয়েক আগে করোনাকালীন পরিস্থিতির জেরে কার্যত বিপাকে পড়েছিল গোটা বিশ্ব। ২০২০ সালের মে মাসে যখন প্রথম লকডাউন ঘোষিত হয়, সেই সময় ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের( Boris Johnson)  জন্মদিন উদযাপনের তথ্য ঘিরে তদন্ত শুরু হয়। এরপর ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই  জল্পনা চলছিল বরিস জনসনের পদত্যাগ নিয়ে।এমনকি কনজারভেটিভ পার্টির এমিপদের মধ্যে থেকেও একই দাবি ওঠে।সেক্ষেত্রে নতুন প্রধানমন্ত্রী পদ প্রার্থী হিসেবে যে নাম নিয়ে সর্বত্র আলোচনা, তিনি হলেন লিজ ট্রাস।

এখন প্রশ্ন আসতেই পারে যে কেনো লিজ ট্রাস এর নামটাই বারবার উঠে আসছে? এই মুহূর্তে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাস। ব্রেক্সিট বাণিজ্য চুক্তির সাথে তাঁর সাফল্য নিঃসন্দেহে পাল্লা ভারি করছে। গত দু বছরে রাজনীতির ময়দানে নিজের জায়গা শক্ত করেছেন মিস ট্রাস (Liz Truss)।

কনজারভেটিভ হোম সদস্যদের নিয়ে করা এক সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, লিজ ট্রাস তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনাকের চেয়ে ১৮ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন। ভোটাররা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জনসনের পরে সেরা প্রার্থী হিসেবে লিজ (Liz Truss)কেই ভোট দিয়েছেন।

এবার আসা যাক নীতিগত দিক আলোচনা করা যাক। বিনিয়োগ অত্যন্ত ঝুঁকি সাপেক্ষ একটা বিষয়। সেক্ষেত্রে মিস ট্রাস বরাবরই মুক্ত বাজার অর্থনীতি কে সমর্থন করেন। ব্রেক্সিটপন্থী মিস ট্রাস কিন্তু রক্ষণশীলতায় বিশ্বাসী। লিজ ট্রাস মার্গারেট থ্যাচারের দর্শন অনুসরণ করছেন। তিনি কম কর আরোপ এবং কম রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের পক্ষে।

ট্রাস মনে করেন, সরকারের অধীনে সাধারণ মানুষের জন্য ট্যাক্স পরিবর্তিত হবে কিনা তা ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন। কারণ ইউকে সরকারগুলোর জন্য ট্যাক্স হ্রাস অস্বাভাবিক। ২০১৯ সালে ঠিক এই বিষয় কেই গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছিলেন বরিস জনসন।কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য চুক্তি করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

পাশাপাশি আবার বাণিজ্য সচিব থাকাকালীন মিস ট্রাস ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাজারে বেশ কয়েকটি চুক্তি করতে সক্ষম হন। তাই সব দিক থেকেই লিজ এগিয়ে রয়েছেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাহলে ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটই হতে চলেছে লিজ ট্রাস এর গন্তব্য, উত্তর দেবে সময়।

Previous articleসাধারণতন্ত্র দিবসে ঐতিহ্যের চেনা ছবি দেখল ওয়াঘা-আটারি
Next articleপদ্মসম্মান ফিরিয়ে দেওয়ায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে তীব্র কটাক্ষ দিলীপের