উত্তরপ্রদেশ: কংগ্রেস ডুবন্ত নৌকা, কেউই সওয়ার হতে চাইছেন না

সামনেই উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন (Uttar Pradesh Assembly Election)। তার আগে কংগ্রেসের (Congress) সমস্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। পড়েছে দল ছাড়ার হিড়িক। গত এক মাসে দলের ১০ বড় নেতা কংগ্রেস ছেড়ে চলে গিয়েছেন। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস নেতা আরপিএন সিং (RPN Singh) বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছেন। বিশ্বাস করা হয় যে, এইভাবে দল ছেড়ে চলে যাওয়া নেতারা সম্ভবত বুঝতে পেরেছে যে আগামিদিনে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।

২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) জয়ী দলের সাতজন বিধায়কের মধ্যে রাজ্য সভাপতি অজয় কুমার লালু এবং কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেত্রী আরাধনা মিশ্র ছাড়া সকলেই দল ছেড়েছেন। চলতি বছরের শুরু থেকে অন্তত ১০ জন বিশিষ্ট নেতা কংগ্রেস ছেড়েছেন। যাদের অনেকেই দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন।যেমন, আরপিএন সিং দলের তারকা প্রচারকদের তালিকায় ছিলেন। তিনি ঝাড়খণ্ডের এআইসিসি ইনচার্জ ছিলেন। সুপ্রিয়া অ্যারন, হায়দার আলি খানের মতো আরও কয়েকজনও দল ছেড়েছেন। এঁদের কংগ্রেস নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য টিকিটও দিয়েছে। কিন্তু পার্টিতে থাকার জন্য সেটা বোধহয় যথেষ্ট ছিল না। ইমরান মাসুদ পশ্চিম ইউপির সবচেয়ে বিশিষ্ট মুসলিম মুখ যিনি এই নির্বাচনের আগে কংগ্রেস ছেড়েছেন। মাসুদকে উত্তরপ্রদেশের  সহ-সভাপতি এবং এআইসিসি সচিব করা হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন আগে তিনি সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দেন। উল্লেখ্য যে ইমরান মাসুদ সাহারানপুর থেকে নির্দল বিধায়কও হয়েছেন। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের জন্য তিনি লাইমলাইটে আসেন। সেই সময় বিজেপির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তবে, দল পরিবর্তনের পরে, সমাজবাদী পার্টিও তাকে ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট দেয়নি। মাসুদ ছাড়াও বেরেলির প্রাক্তন মেয়র সুপ্রিয়া অ্যারনের আচরণে ধাক্কা খেয়েছে কংগ্রেস। সুপ্রিয়াকে বেরেলি ক্যান্টনমেন্ট থেকে কংগ্রেসের টিকিট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তার স্বামী এবং প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ প্রবীণ সিং অ্যারনের সাথে সমাজবাদী পার্টি-তে যোগ দেন। বেরিলির কংগ্রেস নেতারা বলছেন যে সুপ্রিয়া মনে করেছিলেন যে কংগ্রেস প্রার্থীর চেয়ে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী হিসাবে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা তার বেশি। একই সঙ্গে অন্যান্য নেতাদের মধ্যে রামপুরের যুব নেতা হায়দার আলী খানের নামও রয়েছে। রামপুরের শোয়ার বিধানসভা আসন থেকে লড়বেন হায়দার। তিনি বিজেপির মিত্র আপনা দলে (এস) যোগ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: অবসর নিল ‘বিরাট’, বিদায় জানালেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী

এছাড়াও পূর্বাঞ্চলের কংগ্রেসের (Congress) বড় নেতা ৩৭ বছর বয়সী ললিতেশ পতি ত্রিপাঠিও টিএমসি-তে গিয়েছেন।রায়বেরেলি সদর থেকে দলের বর্তমান বিধায়ক অদিতি সিং, হরচাঁদপুর-এর বিধায়ক রাকেশ সিং , সাহারানপুরের বর্তমান বিধায়ক নরেশ সাইনি বিজেপি-তে এবং মাসুদ আখতার সমাজবাদী পার্টি-তে নাম লিখিয়েছেন। রায়বেরেলির বিধায়ক রাকেশ সিংও দল ছেড়েছেন তাদের মধ্যে।

 

Previous articleপর্নোগ্রাফি পছন্দ করে তালিবান (Taliban)! বিস্ফোরক মন্তব্য আফগান পর্নস্টারের 
Next articleউডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি গুরুতর অসুস্থ গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, চিকিৎসায় বোর্ড গঠন