ব্যাপক মারধর, বৈদ্যুতিক শক চিনা সেনার’! ‘মানসিকভাবে বিধ্বস্ত’ অপহৃত অরুণাচলের কিশোর

অরুণাচল প্রদেশে অপহৃত কিশোরের ওপর অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছে চিনা সেনা। দেওয়া হয়েছিল বৈদ্যুতিক শক! এমনই অভিযোগ করলেন ওই কিশোর মিয়াম তারোনের বাবা।

১৮ জানুয়ারি লুংটা জোর এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে শিকার করতে গেছিল মিরাম। সঙ্গে ছিল এক বন্ধু। নাম জনি ইয়ায়িং। সেখান থেকেই মিরামকে অপহরণ করে চীন সেনা। কোনওমতে পালিয়ে আসে জনি। খবর দেয় প্রশাসনকে। ২৭ জানুয়ারি ওই কিশোরকে ভারতের হাতে তুলে দেয় চিন। আনজ জেলার কিবিথুতে ওয়াচা–দামাই পয়েন্ট দিয়ে ভারতে পাঠানো হয় তাঁকে। এর পর সেখানেই কোয়ারেন্টাইনে ছিল মিরাম। সরকারি প্রক্রিয়া শেষ করে সোমবার তাকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

সোমবার সন্ধ্যায় অভিভাবকদের কাছে কিশোরকে পৌঁছে দেওয়া হয়। তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায় স্থানীয় প্রশাসন। তখনই ১৭ বছরের মিরাম তারনের বাবা ওপাং টরোন ছেলের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা সকলকে জানান। তিনি জানিয়েছেন তার ছেলে লালফৌজের অত্যাচারে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তিনি বলেন, ওর গায়ে পায়ে প্রচুর লাথি মারা হয়েছে। প্রচণ্ড মারধরের সঙ্গে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়েছে। প্রায় সারাক্ষণই হাতপিছনে মুড়ে বাধা ছিল ওর। বেঁধে রাখা হতো চোখ। কেবলমাত্র খাওয়া-দাওয়া বা অন্য প্রয়োজন হলে তবে খোলা হতো। তবে মিরামকে যথেষ্ট পরিমাণেই খেতে দেওয়া হয়েছিল সেখানে। খাওয়ার অভাব রাখা হয়নি। জানিয়েছেন টারোন। মিরামের বাবা জানিয়েছে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে তার ছেলে। তার শরীরে রয়েছে তিনি সেনার নীপিড়নের চিহ্ন। এর আগে ২০২০ সালে সেপ্টেম্বরেও অরুণাচল সীমান্তের ৫ গ্রামবাসীকে অপহরণ করে একই ভাবে অত্যাচার চালিয়েছিল চিনা সেনা।

আরও পড়ুন- আগামিকাল পুরভোট নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে সর্বদল বৈঠক

Previous articleআগামিকাল পুরভোট নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে সর্বদল বৈঠক
Next articleCricket: ২৪ বছর পর কমনওয়েলথ গেমসে ফিরছে ক্রিকেট, প্রথম ম‍্যাচে মুখোমুখি ভারত-অস্ট্রেলিয়া