লোকসভার সাফল্য অতীত, সবুজ ঝড়ে বিজেপির শোচনীয় পরাজয় আসানসোলে

অতীতের গেরুয়া ঝড় ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে শিল্পাঞ্চলে। সোমবার আসানসোলের(Asansol) ১০৬ ওয়ার্ডে পুরভোটের(municipal election) ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পর দেখা গেল নিরঙ্কুশভাবে কোলিয়ারিতে ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল(TMC)। নির্বাচনী ফলাফল বলছে, ১০৬ আসনবিশিষ্ট আসানসোল পুরসভায় তৃণমূল পেয়েছে ৯১ টি আসন, শেষ লোকসভা নির্বাচনে আড়াই লক্ষ ভোটে জয় পাওয়া বিজেপি পুরসভা নির্বাচনে পেয়েছে মাত্র ৭ টি আসন। পাশাপাশি বামেরা ২টি, কংগ্রেস ৩টি এবং অন্যান্য ৩টি আসন। ফলাফল প্রকাশ্যে আসতেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে আসানসোলবাসীর আস্থা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) উন্নয়নের উপর।

১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বঙ্গে সাফল্য পেলেও একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল সাফল্যের পর কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায় গেরুয়া শিবিরের আসল ছবিটা। ৪ পুরসভা নির্বাচনে চারটিতে জয় নিয়ে তৃণমূল নিশ্চিত হলেও গেরুয়া ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আসানসোলে মার্জিন কতখানি হবে সেদিকে নজর ছিল সকলের। অবশ্য ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পর আর বুঝতে বাকি রইল না আসানসোলবাসী বিজেপিকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপির এমন করুণ ফলের পিছনে মূল কারণ দলের গোষ্ঠী কোন্দল ও ছন্নছাড়া অবস্থা। পুরনো কর্মীদের গুরুত্ব না দিয়ে নব্য-তৎকাল বিজেপি নেতাকে ক্ষমতার শীর্ষে তুলে আনা। এবং সর্বোপরি উন্নয়নকে পিছনে ফেলে ধর্মকে হাতিয়ার করে ভোট রাজনীতি আসানসোলবাসী ভালোভাবে নেয়নি। যার জেরে নিরঙ্কুশ জয় তো বটেই আসানসোলে ভোট শতাংশের অঙ্ক বলছে, ৬৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে তৃণমূল, বিজেপি ১৭ শতাংশ, বাম ১১ শতাংশ, কংগ্রেস ৪ শতাংশ ও অন্যান্য ৩ শতাংশ।

আরও পড়ুন:হিজাব না পরার কারণেই দেশে ধর্ষণের বাড়বাড়ন্ত: বিতর্কিত মন্তব্য কংগ্রেস বিধায়কের

তবে চূড়ান্ত ব্যর্থতার পর হারের কারণ হিসেবে বরাবরের মতো চেনা অঙ্কে বিজেপি সন্ত্রাসকে হাতিয়ার করলেও তাদের সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। লজ্জাজনক হারের পর এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জয়প্রকাশ স্পষ্টভাবে জানান, এই হারের পেছনে মূল কারণ বিজেপির সাংগঠনিক ব্যর্থতা। রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সন্ত্রাসের কথা বলে পার পাওয়া যাবে না। ময়দান ছেড়ে দিয়ে এখন ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তোলা হচ্ছে। কয়েকজন অযোগ্য নেতা ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে দলের মাথায় বসেছে। এই হারের দায় নিতে হবে বিজেপি নেতৃত্বদের, বারবার হাইকোর্ট-রাজভবন দেখালে চলবে না।

Previous articlePulwama attack: পুলওয়ামায় শহিদ ভারতীয় জওয়ানদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রীর
Next articleBidhannagar : বিধাননগরের মেয়র কে? জল্পনা জিইয়ে মমতা জানালেন সিদ্ধান্ত উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে