‘গ্রুপ ডি’ মামলায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

গ্রুপ ডি নিয়োগ নিয়ে মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। আজ মঙ্গলবার ওই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্ট। কাকে বিশ্বাস করব ? পর্ষদ নাকি কমিশন ? মঙ্গলবার ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি চলাকালীন এমনই মন্তব্য করেন বিচারপতি হরিশ ট্য়ান্ডন। তিনি আরও বলেন, যদি অনিয়ম হয়েছে ধরেও নেওয়ায় যায় তাহলে তার জন্য দায়ী কে ? সেই ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা খুব একটা সহজ নয়।

SSC-র গ্রুপ-ডি নিয়োগে দু্র্নীতির মামলায় প্রথমে সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। তারপরই সিঙ্গল বেঞ্চের রায় খারিজ করে দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগের নজরদারিতে এক বিশেষ অনুসন্ধানকারী দল গঠন করা হয়েছিল।

এদিন ওই মামলায় সওয়াল করতে গিয়ে মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, সরকার স্কুল খোলার দোহাই দিয়ে অনিয়মের পাশে দাঁড়াচ্ছে। শুধু গ্রুপ ডি নয়, গ্রুপ সি-র ক্ষেত্রেও অনিয়মের অভিযোগ উঠছে। গ্রুপ ডি পদে যে ৫৭৩ জনের নিয়োগ দুর্নীতির মামলা হয়েছে তাতে অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ শুক্রবার পর্যন্ত  বজায় রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। পরবর্তী শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন:Modi-Mamata: ভাঙন রুখতে ‘গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আদালতের কাছে জমা পড়া ভুয়া নিয়োগ সুপারিশপত্র সঙ্গে তদন্ত কমিটির কাছে থাকা নথি মিলিয়ে দেখতে চায় ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, বৃহস্পতিবার কমিটির কোনো প্রতিনিধি তাদের কাছে জমা পড়া নিয়োগ সুপারিশপত্রের কিছু নমুনা মুখবন্ধ খামে জমা দেবে আদালতে।

Previous articleGoogle: গুগলের ভুল ধরিয়ে কোটি কোটি টাকা পেলেন এক ভারতীয়!
Next articleWriddhiman Saha: ‘আমি সেই শিক্ষা পাইনি যে, কারো কেরিয়ার নষ্ট করব’ সাংবাদিকের নাম প্রকাশ নিয়ে বললেন ঋদ্ধি