অধিক মস্কো প্রীতিতে ‘আম-ছালা’ দুই যাওয়ার জোগাড় নয়াদিল্লির

ইউক্রেন- রাশিয়া(Ukraine-Russia) যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারত সরকার রাশিয়ার বিরুদ্ধে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি এর পিছনে একাধিক কারণও খাড়া করেছে নয়া দিল্লি(New Delhi)। তার মধ্যে সব চেয়ে বড় কারন রাশিয়ার প্রতি ভারতের প্রতিরক্ষা নির্ভরতা। তবে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আপাতত বেশ দোলাচলে নয়াদিল্লি। মস্কোর বিরুদ্ধাচরণ না করলেও যুদ্ধকে সমর্থন না করার ফলে রাশিয়া থেকে ভবিষ্যতে অস্ত্র কেনার বিষয়টি এখনও গলা পর্যন্ত জলে। পাশাপাশি আমেরিকা(America) এ বিষয়ে তাদের আর্থিক নিষেধাজ্ঞা থেকে আর ছাড় দেবে না নয়াদিল্লিকে। সব মিলিয়ে ভারতের অবস্থা এখন একুল ওকুল দুই হাতছাড়া হওয়ার জোগাড়।

রাশিয়াকে প্রচ্ছন্ন সমর্থনের পিছনে যে সমস্ত কারণগুলি সামনে আনা হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম ভারতকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করে রাশিয়া। কূটনৈতিক দিক থেকেও রাশিয়া ভারতের নির্ভরযোগ্য। সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে সমর্থন করেছিল তারা। একাত্তরের বাংলাদেশ যুদ্ধের সময় ভারতের পাশে ছিল পুতিনের দেশ। এছাড়াও রাশিয়ার বিরোধিতা করার অর্থ তাদেরকে আরো বেশি করে চিনের দিকে ঠেলে দেওয়া ভারতের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপদজনক।

তবে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে যে সমস্ত কারণ নয়াদিল্লি তুলে ধরেছে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে অত্যন্ত জোলো। কারণ রাশিয়া ভারতের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ হলেও বিশ্বাসযোগ্য কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। পুতিন ক্ষমতায় আসার পর অস্ত্র-সরঞ্জাম সরবরাহের ক্ষেত্রে দর কষাকষি, দেরি করে অনেক সময় দাম দ্বিগুণ করে নেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে মস্কোর। তুলনামূলক ফ্রান্স অত্যন্ত দ্রুত অস্ত্র রপ্তানি করলেও মোদি জমানায় তার দাম ভীষণ কড়া। পাশাপাশি ভারতকে সরাসরি সহায়তা করা তো দূরে থাক চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বারবার চোখ বুজে থেকেছে রাশিয়া। পুতিন সরকারই আফগানিস্তানে শান্তি আলোচনা থেকে ভারতকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল। শুধু তাই নয় ভারতকে আমেরিকা ঘনিষ্ঠতা দিতেও ছাড়েনি পুতিন প্রশাসন। পাশাপাশি কাশ্মীরে ভারতের বিরুদ্ধে চিন রাষ্ট্রপুঞ্জে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুললে ভারতের পাশে দাঁড়ায় আমেরিকা সহ ইউরোপের একাধিক দেশ।

আরও পড়ুন:Russia-Eucraine : ইউক্রেনের কিভ থেকে ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ ভারতীয় ছাত্র

এই পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক মহলের দাবি, যুদ্ধের গতি যে পথে এগোচ্ছে তাতে ভারতের রাশিয়া নীতি এখন দোলাচলে। যার জন্যই ইউক্রেনকে সমস্ত রকম মানবিক সাহায্য দেওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে ভারত। এবং রাশিয়ার কাছে হিংসা বন্ধের আবেদন করা হচ্ছে। তবে মোদি সরকারের এই সক্রিয়তা বর্তমান পরিস্থিতিতে অত্যন্ত সামান্য বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

Previous articleনিজেদের বুথে ডুবিয়েছেন! শুভেন্দু-দিলীপ-সুকান্তর বিরুদ্ধে তথ্য গেল দিল্লিতে*
Next articleনিজেদের চেষ্টায় ফিরেছি: মন্ত্রীর আবেদনে ‘মোদি জিন্দাবাদ’ বললেন না ইউক্রেন ফেরতরা