থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা আমরা করেছি”, মোদির মন্ত্রীর ভাষণ থামিয়ে মন্তব্য রোমানিয়ার মেয়রের

(রোমানিয়ার বুখারেস্টেও এসে পৌঁছেছেন কিছু ছাত্রছাত্রী। অসহায় ভারতীয় পড়ুয়াদের আশ্রয় ও খাবারের ব্যবস্থা করেছে স্থানীয় প্রশাসন)

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে দেশে ফেরার কাতর আর্জি জানাচ্ছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা। তাঁদের উদ্ধারের কাজে উদাসীনতার ছবি প্রকট হচ্ছে মোদি সরকারের। যে কয়েকজনকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে, সেখানে আবার প্রচারের চটকদারিতে ব্যস্ত মোদি সরকার। এবার উদ্ধারকাজের প্রচার করতে গিয়ে বিদেশের মাটিতে মুখ পুড়ল কেন্দ্রের।

রোমানিয়ার বুখারেস্টে উদ্ধারকাজ নিয়ে প্রচারের আলোয় আসার চেষ্টা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। কিন্তু বাস্তবতা তুলে ধরে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বিড়ম্বনায় ফেলেন বুখারেস্টের মেয়র।

ঠিক কী ঘটেছিল?

রুশ আক্রমণের মধ্যেই প্রাণ বাঁচাতে নিজেদের উদ্যোগে ইউক্রেন ছেড়ে প্রতিবেশি দেশগুলিতে আশ্রয় নিয়েছে কয়েক হাজার ভারতীয় পড়ুয়া। রোমানিয়ার বুখারেস্টেও এসে পৌঁছেছেন কিছু ছাত্রছাত্রী। অসহায় ভারতীয় পড়ুয়াদের আশ্রয় ও খাবারের ব্যবস্থা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

সেখানকারই একটি ভিডিওতে প্রকাশ্যে আসতে দেখা যায়, বুখারেস্টে গিয়ে এই পড়ুয়াদের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। কিন্তু তাঁকে থামিয়ে বুখারেস্টের মেয়র প্রশ্ন করছেন, “ওরা কখন বাড়ি ফিরতে পারবে, আগে সেকথা জানান। ওদের জন্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা আমি করেছি, আপনি নয়। তাই ভাষণ না দিয়ে ওদের আগে ভারতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন।”

কিন্তু জ্যোতিরাদিত্যে বুখারেস্টের মেয়রকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ না জানিয়ে উল্টে তাঁর সঙ্গে তর্ক শুরু করে দেন। ভিডিওতে জ্যোতিরাদিত্যকে বলতে শোনা যায়, “আমি কী বলব, সেটা আমার সিদ্ধান্ত। আপনি ঠিক করে দিতে পারেন না।’’ উদ্ধারকাজে গিয়ে তাঁর এমন আচরণের জন্য প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

 

 

Previous articleমরলে প্লেন পাঠিয়ে লাভ কী?” মোদির উপর ক্ষোভ উগরে বললেন ইউক্রেনে গুলিবিদ্ধ পড়ুয়া
Next articleএকদল ব্যর্থ সাফল্যের সন্ধান দেবে! শুভেন্দু-সুকান্তদের বয়কটের ডাক “সেভ বেঙ্গল বিজেপি”র